প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৪
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ তাহেরিয়া আর এম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ মজুমদারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অপকর্ম সমূহ তুলে ধরে অধ্যক্ষের পদত্যাগের একদফা দাবী চেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে অত্র মাদ্রাসার সাবেক এবং বর্তমানসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
১ সেপ্টেম্বর ( রবিবার) সকাল দশটা থেকে শুরু করে দিনব্যাপী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ ঘেরাও করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ এবং সরকারি টাকা সবাইকে না দিয়ে অযৌক্তিকভাবে মেধাবী ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে অন্যায়ভাবে কয়েকজন ছাত্রদের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন আটক করা, শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নির্যাতন এবং আহত করা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে ছাত্রদের বহিষ্কার করার হুমকি প্রদান এবং মসজিদে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, সরকারি বই বাণিজ্য করে হাজার - হাজার টাকা আত্মসাৎসহ আরও নানান অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ করা, তার মতের বিরুদ্ধে যাওয়া শিক্ষকদের সাথে অশালীন আচরণ এবং তুচ্ছ কারণে তাদেরকে শোকজ করার মতো সেচ্ছাচারিতা তুলে ধরেন ছাত্ররা।
সরকারি বেতন ভাতার বাইরে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত ৩২ মাসের বেতন বকেয়া রাখা। মাদ্রাসা, মসজিদ, ছাত্রাবাস এবং মাদ্রাসা মার্কেটের আয় - ব্যয়ের সম্পূর্ণ হিসেব ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখা সহ প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত মাদ্রাসায় কোনো অডিট কার্যক্রম করতে না দেয়া এবং সম্পূর্ণ টাকা পয়সা নিজের খেয়ালখুশি মতো খরচ ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ করে তার দ্রুত পদত্যাগ ও অপসারণ করে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করার দাবীতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা সহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাবেক এবং বর্তমান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে মাদ্রাসা কমিটির চেয়ারম্যান আওলাদে রাসূল সাঈয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী আল মাদানী শিক্ষার্থীদের আস্বস্ত করে বলেন, অবশ্যই আমরা ছাত্রজনতার যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে দ্রুত অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিব।
অপরদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অধ্যক্ষের অপসারণ করে বিচারের আওতায় না আনা হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম ফিরে যাবেনা। এবং আরও কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য থাকিবে।
মন্তব্য করুন: