শনিবার, ২৪শে মে ২০২৫, ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি
  • প্রতিবন্ধকতা কাটিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে
  • ১১ হাজার ৮৫১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
  • সারা দেশে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে থাকছেন
  • সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার আরও ১৭৪৪
  • জুলাই ঘোষণাপত্র-বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের রোডম্যাপ একসঙ্গে চায় এনসিপি
  • একনেক সভা শেষে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা
  • সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

সারা দেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০৮

ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে রোববার দুপুর ২টা থেকে সারা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক গেটে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আবদুল আহাদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যে দুইবার ইনসিডেন্ট ঘটেছে, সেখানে আমাদের চিকিৎসকরা নিজের জীবন বাজি রেখে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়েছেন। এমনকি নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের ডাক্তাররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটা অংশ। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, নিউরোসার্জারির অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীর লোক এক ডাক্তারকে বের করে এনে মারধর করে। শুধু তাই নয়, মারতে মারতে ২০০/৩০০ মিটার দূরে পরিচালকের রুমে নিয়ে যায়।

ডা. আহাদ বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করি। বৈঠকে দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। একটি হলো, অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি ছিল আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা যারা জরুরি বিভাগে থাকি তাদের নিরাপত্তার জন্য আর্মি-পুলিশসহ অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত রাতে আরও দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। বাইরে এক গ্রুপ এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। সেই গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিতে আসা গ্রুপকে আবার মারধর করে। তাহলে যেখানে রোগীও নিরাপদ না, সেখানে চিকিৎসকরা কেমন করে নিরাপদ থাকবেন? কিছুক্ষণ পর জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে (ওসেক) এক যুবকের মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের ওপর হামলা হয়, ইমার্জেন্সিতে ভাঙচুর করে। আমরা দেখতে পাই ডাক্তার ও রোগী কেউ নিরাপদ নয়।

ডা. আহাদ বলেন, হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টার পরে আমরা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করি। কিন্তু কোনো সিকিউরিটি আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য কর্মবিরতি করছি। সারা বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল বন্ধ থাকবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর