প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৭
ইদুল আজহা, পেনশন সংক্রান্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, কোটা সংস্কার আন্দোলন, সরকার পতন-সহ বিভিন্ন ইস্যুর বেড়াজালে বন্দী ছিল শিক্ষা কার্যক্রম। বন্ধের প্রায় তিন মাস পর আবারও শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডিন'স কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে অনলাইনে চালু এবং পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরামর্শে অফলাইন ক্লাস-পরীক্ষা চালু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ডিন'স কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের কার্যালয়ে ও তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসময়, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোছাঃ কামরুন্নাহার, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মোঃ মনজুরুল হক, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কায় ক্লাসে ফিরতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায় উপাচার্য কর্তৃক সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ও খোলার নিয়ম থাকায় ক্লাসে ফিরতে পারছিলেন না তারা।
পরবর্তীতে ডিন’স মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ডিনদের আলোচনা শেষে আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে এবং পরবর্তীতে যেকোনো সময় আলোচনা সাপেক্ষে অফলাইন ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার প্রসঙ্গও ওঠে আসে। এছাড়াও, সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিন'স কমিটি।
তবে, ডিনদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে থিওলজি অনুষদের ডিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে তার পরবর্তী জ্যেষ্ঠ ডিন দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে ড. আশ্রাফী এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, সকল সিদ্ধান্ত ডিনদের সম্মতিক্রমে নিতে হবে জানিয়েছেন নতুন প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. আশ্রাফী। এছাড়াও, অফলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে আগামী সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা হবে। মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে তবেই অফলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন ইবিতে সর্বশেষ ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকেই ঈদ ও গ্রীষ্মের ছুটি, শিক্ষকদের পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে কর্মবিরতি, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে সরকার পতন আন্দোলন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। উপাচার্য না থাকায় সিন্ডিকেট সভা আয়োজন করতে না পারায় শুরু করা যাচ্ছিল না ক্লাস পরীক্ষা। এতে সেশন জটে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন: