রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
  • বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে
  • ৫ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার
  • সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ দুপুরে
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে লাহোর
  • বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা-রানি
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই

ইসরায়েলে লাখো মানুষের বিক্ষোভ, ধর্মঘটের ডাক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০০

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন লাখো ইসরায়েলি। গাজায় আরও ৬ জিম্মির নিহত হওয়ার ঘটনায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা রাস্তায় নামেন এবং বিক্ষোভ করেন।

এ সময় গাজায় জিম্মি মৃত্যুর ঘটনায় ধর্মঘটের ডাক দেয় ইসরায়েলের প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ৬ বন্দির মৃত্যুর খবরে হাজার হাজার ইসরায়েলি রাস্তায় নেমে আসেন। বিক্ষোভকারীরা ‘এখন! এখন!’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

এই পরিস্থিতি রাজধানী তেল আবিবে সড়ক অবরোধ করেন অনেক ইসরায়েলি এবং পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বাইরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতের এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও ঘটেছে।

প্রায় ১১ মাস আগে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছিল এটি।

গাজায় বন্দিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করা ‘জিম্মি এবং নিখোঁজ পরিবার ফোরাম’ এক বিবৃতিতে বলেছে, ছয় জিম্মির মৃত্যু নেতানিয়াহুর লড়াই থামাতে এবং তাদের প্রিয়জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার চুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার ফলাফল।

হামাসের বন্দিদশায় প্রায় ১১ মাস নির্যাতন ও অনাহারে বেঁচে থাকার পর গত কয়েক দিনে তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ফোরামের সদস্যরা।

হামাসের বন্দিদশায় মৃত্যু হওয়া কারমেল গ্যাট নামে এক জিম্মির চাচাতো ভাই গিল ডিকম্যান এক্স-এ লিখেছেন, ‘সবাই (জিম্মি) ফিরে না আসা পর্যন্ত রাস্তায় নামুন এবং ধর্মঘট করুন। বাকি জিম্মিদের এখনও বাঁচানো যেতে পারে। ’

ইসরায়েলের হারেৎজ পত্রিকার একজন কলামিস্ট গিডিয়ন লেভি আল জাজিরাকে বলেছেন, নেতানিয়াহু তার সরকারের ডানপন্থি দলগুলিকে মতামতকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন যারা হামাসকে কোনোরকম ছাড় দিতে নারাজ। অথচ ওই দলগুলো জিম্মিদের বিষয়ে ভাবনাহীন থাকতে পারে না।

লেভি জোর দেন, এর মধ্যে অন্যতম সরকারের বৃহত্তম দল লিকুদ পার্টি, সেই দল তাকে সমর্থন করে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য সরকারকে চাপ দিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের বৃহত্তম ট্রেডস ইউনিয়ন ফেডারেশন হিস্টাড্রুট। গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো এই পদক্ষেপ নিলো তারা।

ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের প্রধান বিমান পরিবহন কেন্দ্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে বন্ধ থাকবে। এছাড়া ধর্মঘটের সময় ব্যাংকিং এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ ইসরায়েলের অর্থনীতির প্রধান খাতগুলোকে বন্ধ বা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এদিকে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নেতানিয়াহু ও তার মৃত মন্ত্রিপরিষদের কারণে বন্দিরা জীবিত ফিরতে পারেননি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর