প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৩, ১৯:৫৬
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের আওতায় শনিবার ২৯ জুলাই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় “বাংলাদেশের কৃষিতে সর্বপ্রথম স্যাটেলাইট ব্যবহার: স্পেস এজে প্রবেশ” বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা।
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আবাদি জমির পরিমাণ নির্ধারণে সহায়ক টুল এর উদ্বোধন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াহিদা আক্তার, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
স্বাগত বক্তব্যে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো: শাহ কামাল খান বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে অলোচনা করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে সেচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জানিয়ে জমিতে পর্যাপ্ত সেচের উপকারিতা ও অতিরিক্ত সেচের অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের প্রফেসর ড. ফয়সাল হোসেন বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আবাদি জমির পরিমাণ নির্ধারণে সহায়ক টুল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওয়াহিদা আক্তার জমিতে সেচের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণে স্যাটেলাইট ভিত্তিক সেচ ব্যবস্থাপনা এবং স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আবাদি জমির পরিমাণ নির্ধারণ বাংলাদেশের কৃষিকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করার মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের জন্য শুভকামনা জানান এবং বলেন কৃষকের কাছে আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি তুলে দিতে পারলে তা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে যেমন সহায়ক হবে তেমনি স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ফসলভিত্তিক আবাদি জমির সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের মাধ্যমে জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
বিভিন্ন সংস্থা থেকে আগত কর্মশালার অংশগ্রহণকারীবৃন্দ কৃষিতে স্যাটেলাইট ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন ও এ বিষয়ে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের জন্য প্রকল্পের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন: