রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

কপোতাক্ষতে স্থানান্তরিত ইবির খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৯

বারংবার বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাটে হল জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করা এবং টানা ৩ দিন বিদ্যুৎ বিহীনভাবে অবস্থান করার পর অবশেষে ডরমেটরির ‘কপোতাক্ষ’ ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লকের আবাসিক ছাত্রীদের।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ধীরে ধীরে খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লক ছেড়ে চারতলা বিশিষ্ট কপোতাক্ষ ভবনে আসতে শুরু করেন ছাত্রীরা। আজকে সকাল থেকে সারাদিনে মোট ৯৬ জন ছাত্রী এই ভবনে এসেছে বলে জানা গেছে।

সরজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হাওয়া কপোতাক্ষ ভবনে ছাত্রীদের আগমন উপলক্ষে ভবনের চারপাশের ঝোপজঙ্গল এবং অভ্যন্তরীণ বাথরুম পরিষ্কার ও পানির লাইনের সংস্কার কাজ করেছে এস্টেট অফিস। এছাড়াও, ভবনের অভ্যন্তরের বিভিন্নরুমের বৈদ্যুতিক সুইচ, বোর্ড ও ফ্যান লাইটের লাইনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে লাগানো হয়েছে। হলের রুম থেকে জিনিসপত্র বেঁধে ভ্যানে করে কপোতাক্ষতে আসছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্বেই প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুযায়ী সিনিওরিটির ভিত্তিতে নির্ধারিত রুমে অবস্থান নিচ্ছেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে তাদের জিনিসপত্র নীচ থেকে বিভিন্ন তলার রুমে পৌঁছে দিতে দেখা যায়।

স্থানান্তর করাকালীন এক ছাত্রী বলেন, আমাদের ব্লকের বৈদ্যুতিক সমস্যার ইতিহাস অনেক পুরনো। গত কয়েক দিনের মধ্যেই একাধিকবার শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে একবার বিদ্যুতের লাইনের কাজ করলেও উল্লেখযোগ্য কোন লাভ হয়নি। উপরন্তু গত ৩দিন ধরে হলে আমরা পানি ওয বিদ্যুতহীন অবস্থায় কাটিয়েছি। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে পুরো ভবনের বৈদ্যুতিক সব লাইন নতুন করে ওয়্যারিং করতে হবে। এখানের রুম গুলো ছোট, আপাতত থাকা গেলেও আমরা খুব দ্রুত আমাদের হলে ফিরতে চাই।

এ বিষয়ে ইবির সহ-সমন্বয়ক রকিবুল ইসলাম বলেন, আজকে হলে যে কয়জন ছাত্রী সশরীরে উপস্থিত ছিলো কেবল তাদেরকেই এখানে আনা হয়েছে। এর আগে ভবনটি অব্যবহৃত থাকায় এস্টেট অফিসের সহায়তায় পরিষ্কার করে পানি ও বিদ্যুতের লাইন মেরামত করা হয়েছে। এখন ছাত্রীদের এখানে থাকার মতো একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধাপে ধাপে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী কে.এম শরীফ উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া হলের যে বৈদ্যুতিক সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে নতুন প্রশাসন আসার আগে কিছু করা সম্ভব নয়। প্রশাসন আসলে অনুমোদন হয়ে টেন্ডার আসবে তারপর আমরা কাজে হাত দিতে পারবো। আমরা প্রাথমিকভাবে যে খসড়া করেছি তাতে আনুমানিক ৪৮ লক্ষ টাকার মতো প্রয়োজন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ডরমিটরি এমনিতেই সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। আগে থেকেই সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে তবে এখন কপোতাক্ষ ভবনের জন্য আলাদা করে দুজন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আশাকরি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর