প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৬
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫ কিলোমিটার সড়ক সেচ্ছাশ্রমে মরামত করছে সেচ্ছাসেবীরা। রবিবার সকাল থেকে স্থানীয় ১৫টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই শতাধিক সেচ্ছাসেবী জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বটতলী কচুয়া সড়কের বটতলী-দত্তপাড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করে যানচলাচল উপযোগী করে তোলেন। লক্ষ্মীপুর জেলায় ভয়াবহ বন্যায় শত-শত সড়কের সাথে এ সড়কটিও পানির নীছে তলিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পানি কমতে থাকলে সড়কটির শতাধিক স্থানে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সাথে চন্দ্রগঞ্জ থানার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বন্যারপানি কমলেও সড়কে বড়-বড় খানা-খন্দকের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে এ এলাকার হাটবাজার গুলোতে পন্য পরিবহন ও নিরাপদ যাতায়াত বিঘ্নিত হতে থাকে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য থানা এলাকার হামদর্দ ফাউন্ডেশন, সৈয়দপুর ক্রিড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘ, আলোকিত দক্ষিণ মাগুরী, পদ্মপুকুর পাড় ফাউন্ডেশন, রজাইমেকহা মেডিকেল ক্লাব, আলাদাদপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থা, একতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, পূনিয়ানগর দুর্বার সংঘ, উত্তর জয়পুর ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম, জাগরণ সমাজকল্যাণ সংস্থা, আনন্দবাজার, অনলাইন হেল্প জোন ফাউন্ডেশন, খিদমাহ ফাউন্ডেশন, তারুণ্য শক্তি সংস্থা, আল করীম ফাউন্ডেশনসহ ১৫টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা সড়কের গর্তে ইট ও বালু ফেলে যানচলাচলের উপযোগী করে তোলেন।
পদ্মপুকুর পাড় ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল আলম সবুজ বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ায় এটি আগ থেকেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সাম্প্রতি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় সড়টি আরও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে এই সড়কের দুপাশের প্রায় তিন লাখ মানুষ চলাচলে মানবেতর জীবন যাপন করে। তাই স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ লাগবে আমরা সেচ্ছাসেবীরা সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করি।
সৈয়দপুর ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সেচ্ছাসেবীরা ইট ও বালুদিয়ে সড়কের গর্ত গুলো মেরামত করেছি। এতে আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে।
সৈয়দপুর অনলাইন হেলপ জোন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আমরা ১৫টি সেচ্ছাসেবী সংগঠন এ সড়কটি মেরামত করছি। আমাদের সাথে পুনিয়া নগর মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকরাও অংশ নিয়েছেন। সড়কটি মেরামত করার ফলে এ এলাকার মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ হয়েছে।
সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. হেলাল, জয়নাল ও রুবেল বলেন, আমরা প্রতিদিন এই সড়কে যাত্রী নিয়ে সিএনজি চালাই। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কটি গাড়ি চলাচলের আগেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে ছিল। সাম্প্রতি বন্যায় বড়-বড় গর্ত হয়ে এটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সেচ্ছাসেবীরা সড়কটির কাজ করায় এখন আমরা যাত্রী নিয় কিছুটা নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা, হারুন, তোফায়েল, সুইটি ও সেলিনা বেগম বলেন, বটতলী-দত্তপাড়া রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে করুণ অবস্থায় পড়ে ছিল। খানাখন্দে সড়কে পথচারীদের দুর্ভোগ ছিল অনেক। তার উপরে বন্যায় আরও বেশী ক্ষতি হয়েছে। এখন সেচ্ছাসেবীরা গর্তে ইট-বালু পেলায় আমরা কিছুটা সস্থিতে চলাফেরা করতে পারছি। আশা করছি কতৃপক্ষ দ্রুত সড়কটি সংস্কার করবে।
মন্তব্য করুন: