রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

২০ লাখ টাকা করে নিয়ে ২৫০ জনকে চাকরি দিয়েছেন মংসুইপ্রু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:২৯

এ যেন রূপকথার কল্পকাহিনি। মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে শূন্য থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। আছে হাজার বিঘা জমি, অর্ধশতাধিক গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি ও বিশাল লেক। একসময় যার নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল, তিনি হয়ে ওঠেন রাজকীয় জীবনের অধিকারী।

‘আলাদিনের চেরাগ পাওয়া’ এই ব্যক্তির নাম মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। তিনি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর মংসুইপ্রুও পাহাড়সমান সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় সাবেক সংসদ-সদস্য চাচাশ্বশুর কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরার ওপর ভর করেই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ গড়েছেন মংসুইপ্রু। তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাট, টেন্ডারবাজি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, শতাধিক গায়েবি সড়কের টেন্ডার দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং অর্থের বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের দলে অনুপ্রবেশ করানোর অভিযোগও রয়েছে। তার এসব অপকর্মের বৈধতা দিতে উপর মহলকে ম্যানেজ এবং রাজনৈতিকভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা।

জানা যায়, খাগড়াছড়ি পৌরসভার পানখাইয়াপাড়া মারমা গ্রামের সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন মংসুইপ্রু। ২০১৫ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরার বড় ভাই লনেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মেয়ে স্কুলশিক্ষিকা কুহেলী ত্রিপুরাকে বিয়ে করেন। সেই সুবাদে চাচাশ্বশুরের সুপারিশে জেলা পরিষদ উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পান মংসুইপ্রু। এরপর তার পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ভাগ্য বদলে ফেলেন তিনি। পরে চাচাশ্বশুরের প্রভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটিও পেয়ে যান। এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মংসুইপ্রু। তার বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

মংসুইপ্রু পার্বত্য জেলার সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালের ৫ মার্চ জেলা কৃষি অফিসে জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করেন মংসুইপ্র। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মনগড়া রেজাল্ট প্রকাশ করে পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেন তিনি। একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। ওই সময় প্রায় ২৫০ জন চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫-২০ লাখ টাকা উৎকোচ নেন।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর