প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৩
হবিগঞ্জে চুনারুঘাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলাটি করেন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান আবদাল, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক সজল দাশ, তাঁতী লীগের সভাপতি কবির মিয়া খন্দকার, কাউন্সিলর আবদুল হান্নান ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রজব আলী প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভ চলাকালে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নির্দেশে একদল লোক আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালায়।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর।
এত অসংখ্য লোকজন আহত হন। আন্দোলনের সময় সায়েদুল হক সুমনের নির্দেশে আসামি মানিক সরকার তার হাতে থাকা একটি রামদা দিয়ে উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। অন্য আসামি কবির মিয়া খন্দকার বাদীকে একটি রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পাশাপাশি অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারধর করেন।
মন্তব্য করুন: