বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ সম্ভব নয়
  • শ্রমিকদের ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
  • ‘শ্রমিক-মালিকদের যৌথ প্রচেষ্টাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে’
  • মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে
  • জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো বরিশালের আমড়া
  • বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
  • বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা
  • ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
  • সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী পালিত

রবিউল আলম , ইবি

প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৫

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মুসলিম জাহানের শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মোহাম্মদ (সা) পৃথিবীতে আগমন উপলক্ষে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সা) পালিত হয়েছে। ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ শীর্ষক’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা ড. আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সভার প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. হিজবুল্লাহ। এছাড়াও অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাজিমুদ্দিন এবং মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দিন খান আলোচক হিসেবে ছিলেন।

প্রধান আলোচক ড. এ.বি.এম. হিজবুল্লাহ বলেন, কিভাবে বৈষম্যহীন একটা সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা যায় তার উদাহরণ মহানবী (সঃ) দেখিয়েছেন৷ মহানবী (সাঃ) উহুদের পর থেকে ওফাতের আগ পর্যন্ত একটি মিনিটও শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছেন কি-না আমার জানা নেই। উম্মাতের চিন্তা ছাড়া তার কিছুই ছিলো না। আবু জেহেল, আবু লাহাবকে কম দাওয়াত দেননি। মাঝে মধ্যেই বিশেষ ব্যক্তিরদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকে হতো। একদিন এমন এক সময় এক ব্যক্তির আসলেন এবং নবীজিকে বলেছিলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমাকে শিক্ষা দিন, নবীজি একটু বিরক্তি প্রকাশ করলে সাথে সাথেই আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন।

তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীরা বলেন, রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম হয় না, ধর্ম হয় মানুষের। তবে আমাদের প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রীয় ভাষা হয় কিভাবে? এইটা কি বৈষম্য না? পৃথিবীকে বৈষম্যহীন করতে হলে নবী করিম (সাঃ) এর আদর্শকে ধারণ করতে হবে। তবেই পৃথিবীকে একটি বৈষম্যহীন পৃথিবী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সভার সভাপতি ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, বৈষম্য বিরোধী সমাজ গঠনের রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর আদর্শের বিকল্প নাই। রসুলের আদর্শ ছাড়া পৃথিবীর আর কোন তন্ত্র, মন্ত্র, মতবাদ দিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব নয়, একথা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের ব্যাপারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের দেখে সমাজের, দেশের মানুষ জানবে, দেখবে যে তারা কাজে কর্মে কথায় রসুলের আদর্শ ধারণ করে, তাহলেই আমরা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের মাগফেরাতের জন্য আমি আজকের অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর