প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৫০
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন প্রস্তরকঠিন। কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় ছিলেন পানির মতো সরল। তাঁর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।’
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নবীকুলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।’
সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘মহান আল্লাহ তাআলা হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ বা পুরো বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তিনি এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’ বা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে।
এ জন্য পবিত্র কোরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ।’
তিনি বলেন, ‘তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকার দূর করে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎগুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন।
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারা বিশ্বে পবিত্র কোরআনের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মানবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর বিদায় হজের ভাষণ পুরো মানবজাতির জন্য আলোর দিশারি হয়ে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান মদিনা সনদ ছিল মহানবী (সা.)-এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব স্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে।
ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা পুরো মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সবার জীবনকে আলোকিত করুক; আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক; মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান আল্লাহ আমাদের মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।’
মন্তব্য করুন: