প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪০
নাটোরের গুরুদাসপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. হারেজ আলী (৭০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন তার স্ত্রী হোলেদা বেগম।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-চাপিলা গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হারেজ আলী উপজেলার ভানুরা মিল্কীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আটকরা হলেন- বৃ-চাপিলা আদর্শ গ্রামের মমিন আলীর ছেলে সুমন আলী (৩০), ইউসুফ আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২), মোজাম হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (২০)।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, হারেজ আলী ও হোলেদা বেগম দম্পতি গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতেন। তাদের এক ছেলে কামাল হোসেন বিদেশে থাকেন। আরেক ছেলে খাঁজা আলী আলাদা বাড়িতে বসবাস করেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে তারা নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত মই দিয়ে তাদের বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তাদের অন্ত্র দেখিয়ে মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ওই বৃদ্ধ দম্পতি তাদের বাঁধা দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হারেজ আলীকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় তার স্ত্রী চিৎকার দিলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তারা। ঘটনাটি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় হোলেদা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর রাহেলা হাসপাতাল ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এছাড়া অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে মনিরুল ইসলাম, মাসুদ রানা ও সুমন নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত হারেজ আলীর এক ছেলে বিদেশে থাকেন। এজন্য তাদের বাড়িতে নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার থাকতে পারে ভেবে দুর্বৃত্তরা হানা দেয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন: