প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪০
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ‘এলসেভিয়ার’ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ল কর্তৃক প্রকাশিত জরিপে বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ১০ জন গবেষক।প্রকাশিত ওই তালিকার ১০ জন গবেষকের মধ্যে ৯ জন শিক্ষক এবং ১ জন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালিকায় স্থান পাওয়া বাকৃবির কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত বাকৃবির শিক্ষকরা হলেন- কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো তানভীর রহমান, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো শাহজাহান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম লুৎফুল কবির, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আবদুল হান্নান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন, প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম গোলাম দস্তগীর, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আবদুল মজিদ।তালিকায় আরোও স্থান পেয়েছেন বায়োটেকনোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তর সম্পন্নকৃত সাবেক শিক্ষার্থী ইউশা আরাফ।
গত সোমবার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যায়। মূলত বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে ওই তালিকা। তালিকায় পুরো এক বছরের গবেষণা ও আরেকটি পেশাগত ভিত্তিতে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় স্থান পাওয়া অবশ্যই আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। আমি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পাওয়া বাকি নয়জন গবেষককে শুভকামনা জানাই। আশা করছি তাদের ও অন্যান্য গবেষকদের মানসম্মত গবেষনা অদূর ভবিষ্যতে কৃষিতে যে চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
এ প্রসঙ্গে বাকৃবির সাবেক আর্থিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাকৃবির ১০ জন গবেষকের সাফল্যে আমি গর্বিত। এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অত্যন্ত গর্বের। বাকৃবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরলস গবেষণার ফলস্বরুপ আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষকই গবেষণা করছেন, ছাত্ররা ভালোভাবে পড়াশোনা করছেন। তাদের সাফল্যের কথা শুনলে আমারও ভালো লাগে। আমার মনে হয় ৯ জন শিক্ষক নয় আরো বেশি শিক্ষক এই তালিকায় স্থান পেলে ভালো হতো।
উল্লেখ্য, এলসেভিয়ার প্রতিবছর প্রায় ২ হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি এবং এর আর্কাইভে ৭০ লাখেরও বেশি প্রকাশনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন: