প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৩১
শিক্ষকদের পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে কর্মবিরতি, ইদুল আজহা, গ্রীষ্মকালীন ছুটি, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান, আওয়ামী সরকারের পতন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ-সহ বিভিন্ন ইস্যুর বেড়াজালে বন্দী ছিল শিক্ষা কার্যক্রম। ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ৮৪ দিন বন্ধ থাকার পর সশরীরে ক্লাস করতে পেরেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এতে উচ্ছ্বসিত তারা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডিন'স কমিটির সভায় এই সশরীরে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৬ জুন থেকে ছুটি থাকলেও মাঝখানে ২৯ জুন সশরীরে ক্লাস করার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। এরপর ১ জুলাই থেকে লাগাতার বন্ধ হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি, অফিস ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ৮৪ দিন ক্লাস রুমে ফিরতে পারেনি তারা। যদিও এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশাসন কর্তৃক অনলাইন ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরার পর জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঘরে কিংবা মেসে বসে বসে দিন কাটাচ্ছিলাম। সেশনজটের শঙ্কা তো লেগেই আছে, দ্রুত ক্লাস করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। তবে ক্লাস চালু করার এখতিয়ার যেহেতু ডিন’স কমিটি নিয়েছে সুতরাং এর আগেও সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। কেন তারা এমন করলো জানা নাই। প্রায় ডিপার্টমেন্টে ক্লাস শেষ। কিন্তু পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় ইবি শিক্ষার্থীরা।
ইউসুফ সানি নামের এক শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘদিন পর নিজ ক্লাস রুমে ফিরলাম। এ আনন্দ বহিঃপ্রকাশ করার মতো না।বাহিরে তীব্র তাপদাহ, অসহ্য গরম কিন্তু সবকিছুই যেন হার মানায় দীর্ঘদিন পর সকলের একই ক্লাসে বসে ক্লাস করার মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে একসাথে ক্লাসে বসা যেন এক প্রশান্তি অনুভব হচ্ছে। দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সম্পর্ক গুলোতেও কেমন যেন মরিচা পড়ে গিয়েছিল যার অবসান হলো আজকের ক্লাসের মাধ্যমে।সবমিলিয়ে দারূণ এক অভিজ্ঞতা যেন ফিরে গিয়েছিলাম সেই ফার্স্ট ইয়ারের প্রথম ক্লাসের দিনে!”
মাসুদ হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “দীর্ঘ পর সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ায় ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে আমাদের সেশনজটসহ নানা চিন্তার উদ্রেক হয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুতই সব সমস্যার অবসান হবে। পাশাপাশি সেশনজট কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।”
মন্তব্য করুন: