প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৪২
দীর্ঘদিন পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সশরীরে ক্লাস চালু হলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস শহর কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২২ ও ২৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন খাতে। কিন্তু পরিবহন প্রশাসকের ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের কারণে নানা সমস্যায় জর্জরিত ইবির পরিবহন সেবা। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত না হওয়ায় ভোগান্তিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাদহ শহর থেকে আগত শিক্ষার্থীরা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডিন'স কমিটির সভায় সশরীরে ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস চালু হলেও অনুমোদন মিলেনি শিক্ষার্থীদের সব পরিবহন। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ২৬ আগস্ট ৬টি হলের প্রভোস্ট সহ পদত্যাগ করেছেন পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। যদিও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখে পরিবহন সেবা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্লাস চালুর সাথে পরিবহন সেবা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পর্যাপ্ত পরিবহন না দিয়ে ক্লাস চালু হওয়ায় মানে ভোগান্তিতে ফেলে দেওয়া। সুতরাং দ্রুত কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ রুটে পর্যাপ্ত সেবা দিতে দাবি জানাচ্ছি। মাঝেমধ্যে বহিরাগত যাত্রীও তুলতে দেখা যায়।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের নিলয় রফিক জানান, সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া 'পূণর্ভবা' বাসে শিক্ষার্থীদের ভিড়। ভাটই বাজার এবং গাড়াগঞ্জ থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেড়েছিল। বিশেষ করে ঝিনাইদহ রুটের বাসে এমন চিত্র বিগত দিনগুলোতে কখনোই দেখা যায়নি। প্রচন্ড গরমে শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগ আসলেই অসহনীয়। তাই, অনতিবিলম্বে যথাযথ উদ্যোগগ্রহণপূর্বক এ চরম দূর্ভোগ দূরীকরণের দাবি জানাচ্ছি। আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন।
আরবি ও ভাষা সাহিত্য বিভাগের আহমদ মুসা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, ইদানিং বাসে সীট ধরা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। আগস্ট মাস থেকে পরিবহন অভিযান + সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তিস্বার্থে নিজেই নিয়ম তৈরি করে নিচ্ছেন। এটা সমীচীন হচ্ছেনা। তাই, আমি ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটিকে আহ্বান জানাচ্ছি যে, যেন সীট ধরার যে রুলস গুলো আগে প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলো আবার গুছিয়ে একসাথে প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে বন্ধের দিন চাহিদা মাফিক বাস দিবেন। গরমের পাশাপাশি ভাঙ্গা রাস্তায় নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ইবিয়ানরা।
পরিবহন কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আগামী শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সব রুটে পর্বের ন্যায় নির্ধারিত সংখ্যক বাস চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন প্রশাসনের উপ-রেজিস্ট্রার মো: মনিরুজ্জামান বলেন, যেহেতু প্রশাসন নেই, একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চালু করতে হয়। আমরা প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আশ্রাফী স্যার বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। তবে এখনও অনুমোদন হয়নি। আজকে নবনিযুক্ত উপাচার্য ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
মন্তব্য করুন: