প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬
বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চীনের অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ এবং ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করতে আগ্রহী দেশটি। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ‘নতুন একটি অধ্যায়’ খুলতে চাই।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসকে "চীনা জনগণের পুরানো বন্ধু" হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমাদের আপনার উপর পূর্ণ আস্থা আছে।
আপনি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।"
ওয়াং ই বলেন, বাংলাদেশে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য চীনা সোলার প্যানেল নির্মাতাদের ড. ইউনূসের আহ্বানকে চীন গুরুত্ব দেবে। গত মাসে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেইজিং দুই দেশের কোম্পানির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সব পণ্যে শূন্য শুল্ক প্রবেশাধিকার দেওয়ার চীনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশও উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, চাইনিজ রেড ক্রস জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুতর আহত ছাত্র ও মানুষদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের একটি দল পাঠিয়েছে। ওয়াং ই আরো বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের এমন অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে কয়েক মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনার জন্য "আশ্চর্যজনক" চীনা প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চীনা সৌর কম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরো বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে, যা অনেক ধনী দেশের কাছে পছন্দের বাজারে প্রবেশাধিকার ভোগ করে। অন্যান্য চীনা নির্মাতাদেরও বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তর করার আহ্বান তিনি।
ড. ইউনূস চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের "একটি নতুন অধ্যায়" খোলার উপর জোর দেন। তিনি উভয় দেশের কম্পানির মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "আমরা চাইনিজ কম্পানিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করতে পছন্দ করব। আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন: