শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

ভারতে রাসুল (স)-কে কটুক্তির প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

রবিউল আলম, ইবি

প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩

সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটুক্তির ঘটনার প্রতিবাদে ‘মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ’ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম'য়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জড়ো হন। পরে মুসল্লি, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক এবং ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী শেখ পাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ব নবীর অপমান সইবো নারে মুসলমান; আমরা সবাই রাসুল সেনা, ভয় করিনা বুলেট বোমা; সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ; জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই; রাসুল্লাহর কারণে ভয় করিনা মরণে; আমার নেতা তোমার নেতা বিশ্বনবী মোস্তফা; বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো; রামগিরির গালে গালে জুতা মারো তালে তালে ইত্যাদি শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কটুক্তি করা হয়। নবীজি কে কটুক্তি করা মানে মুসলমানদেরকে আঘাত করা । এর আগেও ভারত এধরণের কাজের দুঃসাহস করেছে। আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাইনা। আমরা দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই। যদি তার বিচার করা না হয়, তাহলে পুরো বিশ্বের মুসলিমদের পক্ষ থেকে যে গর্জন আসবে তাতে দিল্লি ও ভারত টুকরো টুকরো হয়ে ছারখার হয়ে যাবে। নবীজিকে অপমান করা মানে বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের কলিজায় আঘাত করা। নবীর আশেকরা এটা কখনোই মেনে নিবে না।

তারা আরও বলেন, যে ভারত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে গুজব ছড়ায়, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে নিজেদের মহান দাবি করে। অথচ তাদের দেশের মুসলমানদের ওপর চলছে প্রকাশ্য নির্যাতন। যেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে ইরান তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারপরও ভারতীয় হিন্দুত্ববাদ উগ্র জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ডের যেন শেষ নেই এই দেশে! সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ স. কে নিয়েও কটুক্তি করে জঙ্গি ধর্মগুরুরা। আর সেইসব জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে সরাসরি বিজেপি সরকারের সাংসদরা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতিসত্বর ভারত এই উগ্রবাদের রাজনীতি থেকে বের হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিবে এই দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ কর্তৃক রাসুল (সা.)-এর নামে জঘন্য কটূক্তি এবং বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে কর্তৃক ‘মহারাজের কিছু হলে মুসলমানদের মসজিদে ঢুকে মারব’ বলে মহারাজকে সমর্থন করার ঘটনায় বিশ্বের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ নবীপ্রেমিক মুসলমানদের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। গত আগস্ট মাসে সংঘটিত এই ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কাউকে গ্রেপ্তার না করায় বিশ্ব মুসলিমের অন্তরে ক্ষোভ আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম জনতা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর