প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৫
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাত পর্যন্ত ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলাগুলোর কারণে আতঙ্কগ্রস্ত লোকজন তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর সদরদপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, হাসান নাসরুল্লাহ ছিলেন হামলার প্রধান টার্গেট। তবে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে তিনি ‘ভালো’ আছেন।
বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে চালানো এই হামলা ২০০৬ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর ইরানপন্থি এই সশস্ত্র সংগঠনটির ওপর সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলায় লেবোননে এ পর্যন্ত সাত শতাধিক লোক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার ভূমধ্যসাগরের তীরের এই শহরে বিমান হামলার সাইরেনগুলো কিছুক্ষণ পরপরই বেজে ওঠে। এ সময় পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের দানিয়েহ উপকণ্ঠের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়ে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাসরুল্লাহর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও আজ শনিবারের হামলায় হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ আলি ইসমাইল নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। তারা বলেছে, এই হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা ইসমাইল তার ডেপুটি ও আরও কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাসহ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, বৈরুতের দাহেহ এলাকার পোশে আবাসিক এলাকায় মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে চালানো হামলার ফলাফল এখনও তারা বিশ্লেষণ করছেন।
হামলায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শত শত লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বৈরুতের শহীদ স্কয়ারে নেমে আসে। রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করা ছাড়া এ সময় তাদের আর কোনোকিছু করার ছিল না।
এই হামলা চালানোর কয়েকঘণ্টা আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধবেশনে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননের সঙ্গে তার দেশের সীমান্ত নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত তার দেশ হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন: