শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

শিক্ষার্থীদের ভুয়া দুয়োধ্বনিতে ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য হলেন ইবি শিক্ষক

রবিউল আলম, ইবি

প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯

২৪'র জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিরোধিতা করার অভিযোগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে শিক্ষার্থীরা দুয়োধ্বনির মাধ্যমে ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করেছেন। গতকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীন্দ্র- নজরুল একাডেমিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, বিকুল আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়েছেন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই অভিযোগের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শনিবার তাকে ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে বাকি বিল্লাহ বিভাগের একটি মিটিংয়ে অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বাইরে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে ও ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এসময় বিভাগের সভাপতি দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় চাইলে শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃত জানান। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়িতে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া, আওয়ামীলীগের দালালদের এই ক্যাম্পাসে ঠাই নেই, খুনির দালালদের ঠাই হবেনা ইবিতে বলে স্লোগান দিতে থাকে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বাকী বিল্লাহ বিকুল প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছেন। ওই সময় তিনি আন্দোলনকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে করা মিছিলে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। এসময় তিনি এই আন্দোলনকে প্রতিহত ও প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়াও মিছিলে ‘আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা স্লোগান’ দেন। তিনি আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও ছাত্রদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মিছিল করা শিক্ষকদের হামলার প্ররোচনা দেন ও তাদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, গত ২ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইবিতেও আন্দোলন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি। সেই আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে সরকার পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তবে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নানাবিধ সমস্যা ও হুমকীর সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা। এসময় বাকী বিল্লাহ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না করে বরং আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আন্দোলনের সময় গ্রেফতারকৃত প্রায় ত্রিশ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করতে ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে কোন সহযোগিতা করেননি। বরং তাকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভও করেননি।

এছাড়াও আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যহারের নাটক মঞ্চস্থ করার সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। এছাড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারনা চালান বলেও অভিযোগ করেন তারা। এর আগেও অর্তনীতি বিভাগের শিক্ষিক অধ্যাপক মুহিতের শোকসভায় গিয়েও তিনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, ছাত্র উপদেষ্টা থাকার ফলে চাইলেও সবকিছু করতে পারিনি। তবে শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তারা অভিযোগ করতেই পারে। আমি একটা আদর্শ লালন করি। সেই জায়গা থেকে আমাকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে। এজন্যই হয়তো তাদের আমার প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

 

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর