প্রকাশিত:
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৫
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলছে আশ্বিন মাসের ১৫ তারিখ কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে শীতের দূত হিসেবে হাজির হয়েছে কুয়াশা। আজ ভোরে এক হাজার ২৩০ একরের ক্যাম্পাসে দেখা মেলে ঘন কুয়াশার যা দেখে মনে হবে চলছে বোধহয় ‘মাঘ’ মাস।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘন কুয়াশার দেখা মেলে। জুম আর্থের তথ্য অনুযায়ী এসময় ক্যাম্পাসের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশার মধ্যেই বাকৃবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে দল বেঁধে মেঘের মতো সাদা বকদের খাবার খেতে দেখা যায়। এক পাল গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে এসেছে রাখালেরা। গরু ও বকের একসাথে খাবার খাওয়ার দৃশ্য সত্যিই ভীষণ মনোমুগ্ধকর।
ষড়ঋতুর ছোয়া এখনো বাকৃবিতে দেখা যায়। প্রকৃতির সৌন্দর্যের ছোয়া নিতে চাইলে অবশ্যই বাকৃবি ক্যাম্পাস ঘুরে যাওয়া উচিত।
বাকৃবি শিক্ষার্থী মো. মিরাজ উদ্দিন বলেন, বাকৃবির সৌন্দর্যে প্রতিবারই আমি বিমোহিত হয়েছি। সকালের এমন পরিবেশ যে কারো মন ভালো করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
আরেক শিক্ষার্থী জয় মন্ডল বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে কুয়াশার দৃশ্য মনকে একদম চাঙ্গা করে দেয়। বাকৃবি ক্যাম্পাস প্রকৃতিকন্যা হিসেবে পরিচিত। প্রকৃতিকন্যার অপরূপ সেই সৌন্দর্য দেখেই বারবার মুগ্ধ হতে হয়।
সকালের এই সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। বেশকিছু বর্ষে চলছে নিয়মিত ক্লাস্টেস্ট কিংবা ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি। এসবের ফাঁকেই প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করে চলেছেন তারা।
রাজধানী ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে এবং ময়মনসিংহ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে এই ক্যাম্পাসের অবস্থান।
এছাড়া বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার আগে তৈরি হওয়া এই বাকৃবিতে প্রকৃতির সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। যেমন- কৃষি মিউজিয়াম, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আম বাগান, লিচু বাগান, নারিকেল বাগান, বিস্তৃর্ণ সবুজ ফসলের মাঠ, ব্রহ্মপুত্র নদ, এশিয়ার সর্ববৃহৎ জার্মপ্লাজম সেন্টার, ডেয়রি ফার্ম, ভেটেরিনারি টিচিং হসপিটাল, বৈশাখী চত্বর, বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বেকার তৈরি বিভিন্ন স্থাপত্য, বিভিন্ন ভাস্কর্য, মরণসাগর, তিন কোণা ও লম্বা আকৃতির শহীদ মিনার, এক গম্বুজ বিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ মসজিদ ইত্যাদি।
মন্তব্য করুন: