শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি
  • রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে
  • বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি অনুসন্ধান কমিটি
  • ঢাকার যে ৫ স্থানে আজ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ
  • রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১ আগষ্ট ২০২৩, ১২:১৬

বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০২৩।

রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রী হলে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। 

সমাবর্তনে অংশ নেওয়া দুই হাজারেরও বেশি গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী হবে। সততা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, শরীর মনে সুস্থ এবং কর্মে উদ্যমী মানুষ হয়ে দেশের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার যোগসূত্রতা, সচেতনতা ও নৈতিক মূল্যবোধসহ নানা বিষয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে হবে। আমি আশা করি, তোমরা এ চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ভবিষ্যৎ জীবনে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করবে।

অনুষ্ঠানে গ্রাজুয়েটদের মাঝে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এবারের সমাবর্তনে চারটি বিভাগে মোট ২০জন গ্রাজুয়েটকে পদক দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন পান চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, তিনজন চেয়ারম্যানস গোল্ড মেডেল, তিনজন ভাইস-চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল এবং বিভিন্ন বিভাগ থেকে নয়জন পান ডিনস গোল্ড মেডেল।

সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্রাজুয়েটদেরকে তাদের কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানান মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

আতিকুল ইসলাম বলেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাবে। আদর্শবান, দেশপ্রেমিক মানুষ সৃষ্টিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অব্যাহত থাকবে। 

সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, গবেষণাভিত্তিক জ্ঞান সৃষ্টিতেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে মনোনিবেশ করতে হয়। আমি মনে করি, তোমরা যারা গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হচ্ছো, তোমাদের মধ্যে সেই প্রেরণা কাজ করছে। বিশ্বের যেখানেই তোমরা কাজ করো না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে মানবতার সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে, সেই প্রত্যাশা করছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মেঘলা সরকার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত যখন নাসরিন, সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মিহির কান্তি ঘোষাল এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম। 

এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবর্তন শেষে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন খ্যাতিমান বাউল শিল্পী ভজন ক্ষ্যাপা ও বিষয় ব্যান্ড।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর