প্রকাশিত:
১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:০৫
উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে রংপুর বিভাগে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে একটি র্যালি বের করে। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম জাকির হোসেন, জিওগ্রাফী এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরবঙ্গের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের হাতে উত্তরের কান্না আর না, আর না; দিল্লি না তিস্তা, তিস্তা তিস্তা; গজলডোবা বাঁধের ছলা, বন্যায় কেন ডোবে গলা; এতো বৈষম্য কেন, উত্তরবঙ্গ কি দেশের বাইরে?; ত্রাণ নয় স্থায়ী সমাধান চাই, উত্তরবঙ্গের সাথে বৈষম্য আর না আর না; বন্যার ক্ষতি তিস্তার ব্যথা, পানি বণ্টনে চাই ন্যায্যতা; তিস্তার পানি বণ্টন চাই, দাবি মোদের একটাই; পানির সুষম বণ্টন চাই, অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই; কেন কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা কিংবা উত্তরবঙ্গ বন্যায় ডুবে গেলে বাংলাদেশ অন্ধ হয়ে যায়? ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতেছে। এবার আমরা ক্যাম্পাসে নামছি। দ্রুত সমাধান না হলে কিন্তু সারাদেশে একযোগে নামতে বাধ্য হবো। এ পর্যন্ত যা চুক্তি হয়েছে তা ভারতের সুবিধার্থে হয়েছে। আমরা কোনো সুবিধা ভোগ করতে পারছি না। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
বিক্ষোভ সমাবেশে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন বলেন, আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে জানাতে চাই, ভারত যদি বারবার পানির বাঁধ খুলে দিয়ে অত্যাচার করলে এদেশের মানুষ আর সহ্য করবে না। ভারতকে জানাতে চাই, আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করুন। অন্যথায় এদেশের মানুষ আদায় করতে বাধ্য হবে।
মন্তব্য করুন: