প্রকাশিত:
১ আগষ্ট ২০২৩, ১৭:০৬
পরিবেশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে ‘গ্রিন আর্থ কোয়েস্ট’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল)। সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক।
দেশের যেকোনো স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষার্থীরা তিনজনের দল গঠন করে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩ লাখ টাকা পুরস্কার। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ দল পাবে যথাক্রমে ২ ও ১ লাখ টাকা পুরস্কার। তৃতীয় রানার্সআপ ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার পাবে। এ ছাড়া শীর্ষ ১৬টি দল ও অনলাইন রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলোকেও বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করতে হবে। আমরা এখন অসাধারণ পরিবর্তনের সময়ে বসবাস করছি। সুস্থ, উৎপাদনশীল জীবন ও নিরাপদ অর্থপূর্ণ কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এসব জ্ঞান ও দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সবুজ এবং টেকসই বিশ্ব গঠন করতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার মোখলেসুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, গ্রিন গ্রোথ বা পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি বলতে পরিবেশগতভাবে টেকসই একটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। আগামীর পৃথিবী হবে জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিযোগিতার। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের বাইরে শিক্ষা, ক্রীড়া, বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেষ্ট হবে।
এই কুইজে মোট ৩০টি প্রশ্ন থাকবে। সব প্রশ্নের মান হবে ১ করে। কুইজের সব প্রশ্নই বহু নির্বাচনী হবে। অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করা হবে সহনশীল পরিবেশ, দূষণ হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা, পরিমিত ও পুনর্ব্যবহার পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি, ডিজিটাল দক্ষতা, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত, পরিবেশবান্ধব, টেকসই জীবনযাপন এবং ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ের ওপর।
শুরু হওয়া নিবন্ধন চলবে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। নিবন্ধন করা যাবে ও আয়োজন সম্পর্কে জানা যাবে ওয়েবসাইট থেকে।
মন্তব্য করুন: