প্রকাশিত:
৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৬
শিক্ষক ও ছাত্রের সম্পর্ক মানব সমাজের অন্যতম মুল্যবান সম্পর্কগুলোর একটি। শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের সম্মান ও শ্রদ্ধা এমন এক অধ্যায়, যা যুগ যুগ ধরে সমাজে গুরুত্বের সঙ্গে লালিত হয়ে আসছে। শিক্ষক শুধু শিক্ষাদান করেন না, বরং জীবনের সঠিক পথের দিশারী হিসেবেও কাজ করেন। তিনি জ্ঞানের আলো দিয়ে ছাত্রদের জীবন আলোকিত করেন এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
শিক্ষককে সমাজে ‘দ্বিতীয় পিতা-মাতা’ হিসেবে দেখা হয়। একজন ভালো শিক্ষক ছাত্রের চিন্তা-চেতনা ও নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন করেন। শিক্ষক ছাত্রদের মধ্যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা, এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করতে সাহায্য করেন।
বর্তমান সময়ে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধে কিছুটা পরিবর্তন আসতে দেখা যায়। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ফলে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক কিছুটা পরিবর্তিত হলেও, শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রয়োজনীয়তা কখনো কমেনি। বরং, এখন ছাত্রদের মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষকদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা আরো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে দৈনিক নাগরিক সংবাদ এর পক্ষ থেকে আমরা কথা বলেছি সমাজে প্রতিষ্ঠিত কিছু মানুষের সাথে যারা তাদের ছাত্র-শিক্ষক সর্ম্পক মূল্যায়ন করেছে।
নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে নাইম ইসলাম:
মশিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েন শিক্ষক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, তার শিক্ষকতা জীবনে সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেকে রয়েছেন। তবে অনেকের মধ্যে প্রিয় শিক্ষার্থীর মধ্যে জালাল উদ্দিন অন্যতম। সে এখন দুর্নীতি দমন কমিশনে উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষাব্যবস্থার গুনগত পরিবর্তন নিয়ে তার মতে, অনেক পার্থক্য আছে বর্তমান এবং অতিতের সময়ের মাঝে। বর্তমান শিক্ষকদের মধ্যে আগের মত আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যায়না। তারা শিক্ষকতা পেশাটাকে শুধুই চাকরি বা অর্থ উপার্যনের উৎস হিসেবে মনে করে। তাই দেখা যায় আগে শিক্ষকগণ যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন সেইটা এখন আর নেই। দায়িত্ববোধ একটা শিক্ষককে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের ঘাটতি শিক্ষার উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকদের বলতে চাই, শিক্ষকতা শুধু পেশা না এটা একটা জাতীয় দায়িত্ব। নিজ উদ্দোগে শিক্ষাকে সহজ পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আকর্ষনীয় করে তুলতে হবে। শিক্ষকতা একটি নৈতিক দায়িত্ব, একজন শিক্ষকের মধ্যে বুদ্ধিমত্তা ও অধ্যাবসায় থাকতে হবে। হযরত মাহাম্মাদ (সাঃ) এর আদর্শে কাজ করতে হবে, নিজিকে বিলিয়ে দিতে হবে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থায় ব্যাপক কারিকুলাম ঘাটতি রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। এটি একটি নেতিবাচক দিক। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ হারাচ্ছে। আগের শিক্ষার গুনগত মান আর বর্তমান শিক্ষার গুনগত মান আমি যদি শতকরা হিসাবে বলি তাহলে বলতে হবে আগে শিক্ষার মান ছিল ৯০% আর বর্তমান শিক্ষার মান ১০%। আগের সময়ে একটা ক্লাসের ৩য় পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থী বর্তমান সময়ের ১ম পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থীর থেকেও ভালো ছিল। আপনি শুনে অবাক হবেন যে, বর্তমান কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী বাংলা রিডিং ঠিকমত পড়তে পারেনা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, ছাত্র হিসেবে আমি সবসময়ই মাঝারি মানের ছিলাম। একদিন আমার প্রিয় স্যার মো: জালাল উদ্দিন আমাকে কাছে ডেকে পরম মমতায় কাঁধে হাত রেখে বললেন, পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। পড়ালেখার মাধ্যমেই জীবনে সফলতা অর্জন করতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হওয়াটাই চরম সফলতা। আমার কাঁধে হাত রেখে স্যারের কথা বলা কথা গুলো এখনো কানে প্রতিধ্বনি হয়। আর আমাকে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন স্যারের দেওয়া পরামর্শ আমি মেনে চলবো ইনশাআল্লাহ।
'শিক্ষা জাতির মেরুদ-' এ কথাটি শ্বাশত ও চিরন্তন। আমাদের সময়কার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ শিক্ষকতাকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করতেন না। তাঁরা এটাকে মহান পেশা এবং সম্মানের জায়গা হিসেবে মনে করতেন এবং শিক্ষকতার চেতনা মনে প্রাণে ধারণ করতেন। ফলে শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা পেতো। শিক্ষকের আদর, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি তা যথেষ্ট গুণগত ছিলো বলেই আমার মনে হয়। কিন্তু বর্তমানে নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার গুণগত মান অর্জন ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন কারিকুলাম অনুসারে শিক্ষকগণকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে তাঁদেরকে শিক্ষা প্রদানের জন্য শ্রেণি কক্ষে প্রেরণ করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার সেই গুণগত মান আর রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই মনে করি।
গুণগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদেরকে ন্যায়বোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, শৃঙ্খলা, আচরণবিধি, ধর্মনিরপেক্ষতা, বন্ধুত্বর্পূণ মনোভাব, সহাবস্থান, অনুসন্ধিৎসু, দেশপ্রেমিক, দেশের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস, দেশের গুণীজন ও সাধারণ জনগণের প্রতি ভালোবাসাবোধ, দায়বদ্ধতা, অধ্যবসায়সহ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক অন্তর্নিহিত গুণ উন্মোচনে সহায়তা করে। এটি শিশুদের কুসংস্কার থেকে বিজ্ঞানমনস্ক ও সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহিত করে। সফল হওয়ার শর্টকাট কোন উপায় নেই। তরুনদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, “নিজের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, অধ্যবসায় ও নিয়মানুবর্তিতা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দৃষ্টি রাখা, ধৈর্যশীল হওয়া, দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন এবং প্রচ- মানসিক শক্তি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পারলে সফলতা আসতে বাধ্য”।
আনোয়ার হোছাইন, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান):
চাকঢালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষকতা জীবনে আসার পর থেকে দীর্ঘ বছর ধরে চাকরি কালে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সুযোগ হয়। আমি কোনদিন কোন শিক্ষার্থীকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখিনি। সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখেছি। তাই বলতে গেলে সবাই আমার প্রিয়। তিনি বলেন, আমার দেওয়া শিক্ষা আর বর্তমান শিক্ষার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। আমার পেশাগত জীবনে আমি সর্বদা চেষ্ঠা করেছি আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা দান করতে এবং আজ-অব্দি করে যাচ্ছি। পাঠ্য পুস্তকের জ্ঞানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে নীতি নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। তবে মাঝে মাঝে শিক্ষার কারিকুলাম যুগোপযোগী করার জন্য পরিবর্তন করা হয়। আগেকার সময়ে পাঠদান পদ্ধতি ছিল শিক্ষক নির্ভর। এখন পাঠ্যপুস্তক গুলো সাজানো হয়েছে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক। যাতে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পাঠ গভীর ভাবে চিন্তা ও অনুধাবন করে শিখতে পারে। যাতে করে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রাসেল তালুকদার স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ২য় স্থান অর্জন, বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ'র প্রথম স্কাউট দলের সদস্য, ক্লাসে সর্বদা ২য় স্থান এবং শিক্ষক মন্ডলীদের চমৎকার পাঠদানের সৃতি আজও মনে পড়ে। শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের ব্যাপারে বলেন, স্যারের সাথে যোগাযোগ অনেকটা কম। তবে শ্রদ্বেয় স্যার হরি কান্ত দাশ ও মোঃ রমজান আলম স্যারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল পুস্তক ভিত্তিক, কিতাবি জ্ঞানের উপর নির্ভর, তাই বেকারত্বের হাঁর ছিল অনেক বেশি। এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা সৃজনশীল, কারিগরি এবং কিতাবি শিক্ষার পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষার উপর নির্ভর, ফলে বেকারত্বের হারও কমে আসছে। তাই আমাদের সময়ের শিক্ষার গুণগত মানের চেয়ে আমদের সন্তানদের শিক্ষার গুণগত মান হাজার গুনে ভালো। তিনি বলেন, আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি অবদান শ্রদ্বেয় শিক্ষক মোঃ রমজান আলম, হরি কান্ত দাশ এবং ওমর ফারুক স্যারের। এরা আমায় সহযোগিতা না করলে আজ অবদি শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হাতে পারতাম হয়ত পারতামনা। আমাকে প্রেরণা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধিতে এই শিক্ষক গনের অবদান অনস্বীকার্য।
আনিসুর রহমান কালিয়াকৈর (গাজীপুর):
কালিয়াকৈর কলেজ এর আইসিটি শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেহেতু মহৎ পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকেই বেছে নিয়েছি সেহেতু সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে অনেকেই আছে আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকায়। তাঁরা অনেকই বাংলাদেশে কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে ভালোবেসে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আগের পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী আমরা পাঠদান করতাম এবং বর্তমানে নির্দিষ্ট পাঠক্রম অনুযায়ী পাঠদান করছি। তবে হ্যাঁ, আগের পাঠ্যপুস্তকে চরিত্র গঠন, সম্মান, শ্রদ্ধা, দেশপ্রেম কিংবা নীতি-নৈতিকতা শিক্ষার প্রতি যেমন জোর দেয়া হতো, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সেটা অনেকটা ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। যে কারনে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-শিক্ষক বা গুরু-শিষ্যের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত লজ্জাস্কর ঘটনা ঘটে যায়। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকদের প্রতি তিনি বলেন, নিজেকে সৎ, মহৎ, এবং আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলুন। এই মহান পেশাকে নিজ কর্মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করুন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, দল কিংবা রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে দেশ বা জাতির জন্য সোনার ছেলে-মেয়ে গড়তে মনোনিবেশ করুন। মনে রাখবেন, আপনার দেয়া শিক্ষাই পরবর্তী প্রজন্ম গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
শিক্ষার গুনগতমান নিয়ে বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বলতে আমি বুঝি, যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ তৈরি করবে, যে শিক্ষা একটি জাতিকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করবে, যে শিক্ষা অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা প্রদান করবে। আমি মনে করি, অধিক গবেষণার মাধ্যমে আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কর্মমূখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। গুনগত মান বিবেচনায় এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা কিছুটা হলেও পিছিয়ে আছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, শিক্ষার এ গুণগত মান অবশ্যই সময়োপযোগী বিশ্বমানের হবে। ইনশাআল্লাহ।
বিএনসিসি প্লাটুন বিএমটিএফ স্কুল এন্ড কলেজ এর সহকারী শিক্ষক বিল্লাল লিটন এর প্রিয় শিক্ষক ডক্টর এ এ মামুন। অতি সাদামাটা একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। একজন আন্তর্জাতিক প্লাজমা ফিজিসিস্ট হয়েও তিনি ছিলেন নিজ দেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার সব সময় চোখে ভেসে উঠে বসন্তের পাঞ্জাবি পড়া মামুন স্যার কে, যিনি বলতেন এবার একটু ক্যাম্পাসে হাটো। হেটে দেখো ফুল ফুটেছে যা ফিজিক্সের মতোই সুন্দর।
তার প্রিয় এই শিক্ষককে এখনো সমানভাবে অনুভব করেন এই ছাত্র। এখনো অনেক ভালো যোগাযোগ শিক্ষকের সঙ্গে। মাঝে মাঝেই কথা হয়। ক্যাম্পাসে গেলে খোজ নিতাম স্যার আছেন কি না। সামনাসামনি দেখা হয় না অনেক দিন। শিক্ষার গুনগতমান নিয়ে তিনি বলেন, আমার শিক্ষার গুনগত মান এবং এখনকার সময় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার গুণগতমান অবশ্যই কাছাকাছি। এখনো ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক যেখানে মধুর আছে সেখানে শিক্ষার মান অটুট আছে। শিক্ষকের সান্নিধ্যে থাকলে তারা অবশ্যই গুনগতমানের শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। আমি আমার স্যারের কাছ থেকে শিখেছি সমস্যা যত জটিল হোক না কেনো সেটা হাসিমুখে কিভাবে সম্মুখীন হওয়া যায় সেই সমস্যাটা পদার্থবিজ্ঞানের গাণিতিক সমস্যা হোক বা জীবনের সমস্যা হোক সেটি হাসিমুখে সম্মুখীন হতে হবে। আসলে সফলতার কোনো শেষ নেই। আপনি ভাবলেন আপনি সফল তখনই আপনি বিফল। সবাইকে উদ্যেশ্য করে একটাই কথায় বলতে চাই আপনার শিক্ষা বাস্তবতায় কাজে লাগান আপনি সফল হবেন ইনশাআল্লাহ ।
শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের সম্মান ও শ্রদ্ধা এক অতুলনীয় বন্ধন। এ সম্পর্কের মধ্যে যে মাধুর্য, তা একদম বিশেষ। এটি কেবল শিক্ষাদানের নয়, বরং আদর্শ গড়ে তোলার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ছাত্রদের উচিৎ সর্বদা শিক্ষকদের প্রতি সেই সম্মান বজায় রাখা এবং তাঁদের দেখানো পথে এগিয়ে যাওয়া। এই সম্মান শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য এনে দেয় না, সমাজে একটি উন্নত ও সুশৃঙ্খল প্রজন্ম তৈরিতেও সহায়তা করে।
মন্তব্য করুন: