শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি

হলের ডাইনিংয়ে সন্তুষ্ট বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩১

গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে যেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হলের ডাইনিংগুলো। ডাইনিংগুলোয় এখন আগের মত নেই জোর - জবরদস্তি কিংবা নিম্মমানের খাবার পরিবেশন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির আশরাফুল হক হলের ডাইনিং ম্যানেজার ও বাকৃবির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল্লাহ মাহমুদ এর কাছ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। আগে ছাত্রলীগ থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের ডাইনিং এ খেতে জোর - জবরদস্তি করা হতো। অনেকদিনের অগ্রিম টোকেন সংগ্রহ করতে হতো ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই ডাইনিং এ খেতে হতো শিক্ষার্থীদের। ক্লাস - পরীক্ষার জন্য সময়মত খেতে না আসতে পারলেও টাকা কেটে নেয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি একেবারেই বদলে গেছে।

এছাড়াও আরো জানা যায়, আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আলম মিয়া স্বয়ং শিক্ষার্থীদের সাথে খাবার খাচ্ছেন এবং খাবারের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এসময় মো. সাইফুল্লাহ মাহমুদ বলেন, বর্তমানে ডাইনিং এ খেতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যার যার ইচ্ছামত সকলে খেতে পারবে। কেউ যদি আগামীকাল খাবার খেতে চায় তাহলে আজ রাতের মধ্যে টোকেন সংগ্রহ করে নিতে হবে।টোকেন মূল্য দুপুরে ৫৫ টাকা এবং রাতে ৫০ টাকা। কেউ চাইলে একবেলা ও খেতে পারবে আবার দুইবেলাও খেতে পারবে। এখন অবধি ডাইনিং নিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে নি। আশা করা যায়,আমরা ভালোভাবেই ডাইনিং চালাতে পারবো।

আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট ড. মো. আলম মিয়া বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখতে পাই হলের ডাইনিংটি বন্ধ, তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে আমরা ডাইনিংটি চালু করি। এরপর থেকে বেশ কয়েকদিন আমি নিজে ডাইনিং এ ছাত্রদের সাথে বসে খাবার খেয়েছি এবং একইসাথে খাবারের মান ও যাচাই করে থাকি। বিশেষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ আপোষহীন। ডাইনিং এর খাবারের মান আরো উন্নয়ন করতে আমরা কাজ করবো।

বাকৃবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, আজকে দুপুরের খাবারে ছিল ভাত, মুরগির মাংসের তরকারি, সবজি এবং ডাল। খাবারের মান আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে, মাছ - মুরগির সাইজ ও বড় হয়েছে। তাছাড়া আমরা নিজ ইচ্ছানুযায়ী টোকেন কেটে খাবার খেতে পারছি। অনেকসময় পরীক্ষা থাকার কারণে বিভিন্ন হোটেলগুলোতে খেতে গেলে সময় অনেক নষ্ট হয়, দূরত্ব ও বেশি, খাবারের মান ও থাকে খারাপ, ডাইনিং থাকাতে আমাদের আর সে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।

বাকৃবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাকি মো. প্রমিজ বলেন, আমি ছয় মাস যাবত হলে আছি, শুরুর দিক থেকে আমি ডাইনিং এ খাই এবং তখন খাবারের মান খুবই বাজে ছিল। এখন হলের ডাইনিং এ আমরা ভাল খাবার পাচ্ছি। আগেরমতো বাজে খাবারগুলো দেয়া হয় না, খাবারের মান নিয়ে আমরা যথেষ্ট খুশি। মাছ-মাংসের পিস অনেক বড় দেওয়া হয়, এতে আমরা সবাই সন্তুষ্ট।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর