শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি
  • রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে
  • বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি অনুসন্ধান কমিটি
  • ঢাকার যে ৫ স্থানে আজ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ
  • রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

কালিয়াকৈরে আত্মগোপনে আট ইউপি চেয়ারম্যান

আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

প্রকাশিত:
২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২৭

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে আটজন জন ইউপি সদস্য আত্নগোপন এবং এক জন্য ইউপি সদস্য উপস্থিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা ও হত্যার চেষ্টায় কালিয়াকৈরে চারটি মামলা হলে গা-ঢাকা দিয়ে কৌশলে দাপ্তরিক কাজ চালাতেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

এসব মামলায় ধরপাকড় শুরু হলে চেয়ারম্যানরা পুরোপুরি আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এসব ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকসেবার কার্যক্রম। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগণ।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আটজন ইউপি চেয়ারম্যান এসব মামলার আসামি। এসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তারা হলেন ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম সরকার, চাপাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতু, বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মৌচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, আটাবহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা, ঢালজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইছামুদ্দিন ও শ্রীফলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিবুর রহমান।

হত্যা ও হত্যার চেষ্টায় আসামি হওয়ার পর কিছুটা গা-ঢাকা দিয়ে কৌশলে দাপ্তরিক কাজ চালাতেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। সতর্কভাবে চলাফেরাসহ অনেক সময় গোপন স্থান থেকে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতেন। এসব মামলায় কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তারের পর লাপাত্তা আট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এবং এদের সাথে কয়েকটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বাররাও এসব মামলার আসামি থাকায় তারা নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে আসে না।

কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নে সেবা নিতে আসা মো:বোরহান উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন আমরা যখন ইউনিয়নে আসি বিভিন্ন কাজে তখন এসে দেখি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং অনেক মেম্বার অনুপস্থিত থাকে এই অনুপস্থিত থাকার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন কাগজের স্বাক্ষর করার জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারদের ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না আমরা সাধারণ জনগণ অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ বলেন, 'সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত থাকেন, সেসব চেয়ারম্যানদের তথ্য চেয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। আমরা তদন্ত করে অনুপস্থিত থাকা চেয়ারম্যানদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। তবে তাদের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিবে, সেটাই চূড়ান্ত।'


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর