প্রকাশিত:
২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:২৩
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বোররচরে শীতকালীন আগাম সবজি চাষে অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনুকূল আবহাওয়ায় উত্তম পরিচর্যায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনা থাকায় আগামজাতের সবজি চাষে ঝুঁকছেন ময়মনসিংহের কৃষকেরা। বাম্পার ফলন আর বাজারদর ভালো থাকলে আগাম সবজিতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
সবজি চাষে সুনাম রয়েছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পাশের বোররচর ইউনিয়নে। অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যার কারণে এখানে ফলনও ভালো হয়। ঢাকা-রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এখানকার উৎপাদিত সবজিগুলো চাহিদাও রয়েছে অনেক। কৃষিপণ্য বাজারজাত করণেও কৃষক ও ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচও কম লাগে। সব মিলে সবজি চাষে লাভবান ময়মনসিংহের কৃষকরা।
ফসলের মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে শীতকালীন আগাম জাতের সিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মূলা, করলা, পটল, লাল ও পালং শাক, শসাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি। ভোর থেকে কৃষকেরা ফসলের ক্ষেতের পরিচর্য়ায় ব্যস্ত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সরেজমিনে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা জেল খানার চর ও বোররচর ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর থেকে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ সিম ক্ষেতে আগাছা কাটছে আবার কেউ বেগুন ক্ষেতে কীটনাশক দিচ্ছে। শ্রমিকদের সঙ্গে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যা করতে দেখা গেছে অনেক কৃষকদের।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত রবি মৌসুমে জেলায় ২১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ করেছিল কৃষকেরা। এবছর সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ২২৪ হেক্টের জমি।
জেল খানার চরের কৃষক লিটন মিয়া বলেন, প্রতি বছরই সবজি আবাদ করি। এবছর ৫ বিঘা জমিতে নানা ধরনের সবজির চাষ করেছি। দুই বিঘা সিম, এক বিঘায় করলা আর বাকি দুই বিঘায় বেগুন ও মুলা চাষ করেছি। এতে আমার দেড় লাখা টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছি এ বছরও সবজিতে লাভ হবে।
সদর উপজেলার বোররচর গ্রামের কৃষক নাজিমুদ্দিন বলেন, এবছর ফুলিকপি, লাউ, লাল শাক ও সিমের আবাদ করেছি ৮ বিঘা জমিতে। গত বছর ফুলকপিতে বেশ লাভ হয়েছিল, তবে অন্যসব সবজিতে লাভ হইছে কিছুটা কম। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। পাইকারি বাজারের লালশাক, লাউ ও সিম বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকার মত। এ বছরও জিনিসপত্রে দাম অনেক বেশি, আশা করছি বাজারদর ভালো থাকলে আগাম সবজি চাষে বেশ লাভ হবে।
মন্তব্য করুন: