মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • নিম্নচাপে উত্তাল সাগর, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত
  • ঢাকার যে ৫ এলাকায় আজ বেশি বায়ুদূষণ
  • সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে অটোরিকশাচালকরা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
  • ঢাকার ৫ এলাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
  • রাজধানীর বেশির ভাগ ফুটপাত দখলে, যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনা
  • সম্পদের হিসাব দিতে আরও ১ মাস পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
  • শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি কোন পথে জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৪৩

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারি কোন পথে এগোচ্ছে এবং কিভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র তা জানতে চেয়েছে। বৈঠকে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উন্নয়নেও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতিসহায়তা চাওয়া হয়। দেশটি বেসরকারি খাতের উন্নয়নেও সহায়তা বাড়াতে সম্মত হয়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে চলমান বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে সাইডলাইনে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।

এসব বৈঠক শেষে গভর্নর বলেন, দেশে যাঁরা নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছেন এবং টাকা পাচার করে বিদেশে সম্পদ গড়েছেন, এসব লুটেরাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদের সম্পদ খুঁজে বের করে, যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের লোপাট করা অর্থ দেশে-বিদেশে যেখানেই থাক, তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি তালিকায় রাখা হয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী পেশাজীবীরা দেশের ব্যাংক খাত এবং অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ জানান।

চরম তারল্যসংকটের মুহূর্তে ব্যাংক গ্রাহকদের ধৈর্যের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও তারা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে হামলা করেনি। এ জন্য নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সুদের হার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলে দেশে ছয় মাস পর সুদহার কমানো সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর মূল্যস্ফীতি কমাতে দেশে নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯.৫০ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এটি ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনা আরো দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করার লক্ষ্যে নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদ হার শতকরা ১১ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১১.৫০ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৮ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

গভর্নর বলেন, আগামী মাস থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সম্পদের মূল্যায়ন শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতিসহায়তা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরেন নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর