প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫
বলিভিয়ায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে ঘাঁটি দখল করে কমপক্ষে ২০০ সৈন্যকে জিম্মি করেছে একটি সশস্ত্র গ্রুপ।
কোচাবাম্বা শহরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছে বলিভিয়ার সামরিক বাহিনী।
হামালার ঘটনার পর দেশটির সামরিক বাহিনী বাকি সৈন্যদের এবং তাদের পরিবারদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
লাতিন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সশস্ত্র সমর্থকদের হাতে দেশটির অন্তত ২০০ সৈন্য জিম্মি রয়েছে। মন্ত্রণালয় আরো জানায় তিনটি সামরিক ইউনিটে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী আক্রমণ করে সামরিক ঘাঁটি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
মধ্য বলিভিয়ায় অবস্থিত কোচাবাম্বা শহরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মেরালেস অনেক বেশি জনপ্রিয়।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, পিঠের পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় সারি সারি সৈন্যদের বেষ্টিত করে রেখেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরালেসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং মানব পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির বর্তমান সরকার। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোরালেস।
এই তদন্ত বন্ধের দাবিতে গত ১৯ দিন ধরে সারা দেশে অবরোধ তৈরি করেছে মোরালেসের সমর্থকরা। বন্দি সৈন্যদের একজন তার কমান্ড সেন্টারে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, সশস্ত্র দলটি চলমান অবরোধে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইভো মোরালেস। ২০১৯ সালের নির্বাচনে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হলে পদত্যাগ করেন তিনি ।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স এবং ইভো মোরালেস দুজনই ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মাস দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের অনুসারীদের সঙ্গে মোরালেসের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। গত রোববার মোরালেস তার গাড়িতে গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এটিকে তাকে হত্যার চেষ্টা বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। মোরালেসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে লুইস আর্স সরকার।
মন্তব্য করুন: