শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে
  • নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা চায় ইসি
  • রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার না চায় তাহলে এখনই নির্বাচন দেওয়া হবে
  • বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি অনুসন্ধান কমিটি
  • ঢাকার যে ৫ স্থানে আজ সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ
  • রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ

গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প   

সার্মথ্যবানদের বিপরীতে বেসামাল শতাধিক গৃহহীন পরিবার

মোঃ নাঈম ইসলাম, গুরুদাসপুর (নাটোর)

প্রকাশিত:
৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৪

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের চকদিঘলী গ্রামে নন্দকুজা নদীপাড়ে বসবাসরত শতাধিক অসহায় পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে আছে। অথচ পাশেই রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। দুস্থ অসহায় হলেও ঠাই হয়নি প্রায় ১শ পরিবারের ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে। এদিকে জায়গা জমি ও ঘর থাকা সত্বেও স্থানীয় এবং বহিরাগত লোকজন সরকারি ওই ঘর পেতে অর্থ আর ক্ষমতা দুটোই বিনিয়োগ করছে এই অসহায় পরিবারগুলোর বিপরীতে।  এসব লোভী সার্মথ্যবানদের দলে স্থাণীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার হাত মেলানোর অভিযোগও রয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, সরকারী নানা সুযোগ-সুবিধা কাগজে কলমে থাকলেও এসব পরিবারের যেনো যুদ্ধ থামছে না মৌলিক চাহিদা পূরনে। ১৯৯৮ সালে চকদিঘলী ব্যারাক হাউজের ১০০টি টিনসেডের ঘর নির্মান করেন সরকার। বর্তমানে সেখানে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৯৮টি আধাপাকা ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। পাশেই শতাধিক গৃহহীন পরিবারের ঝুপড়ি ঘরের বস্তি। কিন্তু তাদের প্রয়োজনীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। অসহায় এসব পরিবারে ঠিকমতো খাবার জোটেনা। চিকিৎসাও দূর্লভ। চিকিৎসার অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকেও বিঞ্চিত তারা। সরকারী ওই ঘর বিতরণে বিলম্ব হওয়ায় গৃহহীনদের জীবনযাত্রা আরো সংকটাপন্ন।

এদিকে জায়গা জমি ও ঘর থাকা সত্বেও স্থানীয় এবং বহিরাগত লোকজন সরকারি ওই ঘর স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্থাদের ম্যানেজ করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে চকদিঘলী আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে যান গণমাধ্যম কর্মীরা। এসময় দ্রুত পুনর্বাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা। তারা হলেন- নীরেন চন্দ্র, অমর কুমার, নরেন দাস, লিটন দাস, নিমবালা, সুশান্ত, মানিক চন্দ্র, তুলশী রানী, আরতি, নাদিরা, লাইলী, আব্দুল হালিম, মোছা. হালিমা, আবু সাঈদ, নূপুর খাতুন, রজুফা, রাজিয়া, সাইফুল, ইনছন খাতুন, রোকেয়া, রহিমা খাতুন, মোছা. আজিরন, সুমন, রওশনারা, আকলিমা, বুলু বেগম, আমেনা, আজাদুল, শাহ আলম, জুলেখা, শাকিল, মমেনা খাতুন, মো. সাইফুল, জয়েন উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, আসকান আলী, ওবায়দুল হক, আব্বাস আলী, আব্দুল বাছেদ, হাসান আলী, কাজলী, সালাম হোসেন, খাইরুল, সোহাগ,  শিরিনা বেগম, আব্দুর রহমান, সাবিনা খাতুন, আব্দুর রাজ্জাক, সাইদুল ইসলাম, মোছা. নেছা, ফেরদৌসী, সালেহা খাতুন, সাব্বির হোসেন, কমেলা বেগম, নাজমুল হক, রাহেলা বেগম, রায়হান উদ্দিন, ফারুক, সনেকা বেগম, আব্দুল মজিদ, শাহিনুজ্জামান, মারুফ শেখ, রেজাউল করিম, শাহিদা বেগম, মৃদুল হোসেন, ফরিদুল ইসলাম, আছিয়া বেগম, মাসুদ রানা, আব্দুর রহমান, আতোয়ার হোসেন, সুফিয়া বেগম, বাতাসী, রমজান আলী, চান্দু মোল্লা, খোকন মোল্লা, পরিজান বেগম, রুহুল আমিন, নূর ইসলাম, ইমরান শেখ, তাসলিমা বেগম, মালেকা বেগম, জাহেরা বেগম, উজ্জ্বল হোসেন, ভানু, রবিউল, খোদা বক্স, আহম্মদ আলী, আনোয়ারা বেগম, শাহ আলম সরকার, মজনু, ফজলুর রহমান, ছাহেরা বেগম, পারভেজ আলী, ফরিদ শেখ, গোলাম রসুল, আসিফ, মাহাবুর, আলামিন, আব্দুর রহিম, ইব্রাহিম, মুর্শিদা সহ আরো অনেকে।

চাপিলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, চকদিঘলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে দীর্ঘ দিন ধরে শতাধিক গৃহহীন ও ভূমিহীনরা বসবাস করে আসছেন। অতিদ্রুত ঘরগুলো প্রকৃত গৃহহীন অসচ্ছল ব্যাক্তিদের মাঝে বন্টনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, চকদিঘলীর গৃহহীনদের বিভিন্ন সময় সহায়তা ও অনুদান প্রদান অব্যাহত আছে। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের যাচাইবাছাই শেষে দ্রুত গৃহহীনদের ঘর বন্টন করা হবে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর