শুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৫, ১২ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
  • সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ
  • ২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
  • ওয়ার্ড সচিব ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার
  • নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না
  • পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে দোহা থেকে রোমে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আইসিটির দুর্নীতি তদন্ত ও শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স
  • তুরস্ক ও আমিরাত সফরে প্রধান বিচারপতি

প্রকল্পে দুর্নীতির সুযোগ রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪১

প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সুযোগ রয়েছে, সেগুলো রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’-এর বিধি-বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণবিষয়ক সভা শেষে এ আশ্বাস দেন তিনি।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রকল্প পর্যায়ে বহুস্তরে দুর্নীতি হয়ে থাকে। প্রথমত, প্রজেক্টগুলো যেভাবে বানানো হয়, তখনই নিয়মের অনেক ব্যতিক্রম হয়। এর থেকেও বড় কথা হলো প্রকল্পগুলো যখন অনুমোদন হয়, অনুমোদনের পরে ক্রয়নীতির মাধ্যমে যাদের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়, এগুলোর মধ্যে অনেক ফাঁক-ফোকর আছে। দেখা যায়, একই প্রতিষ্ঠান বারবার ওই প্রকল্পগুলো পেয়ে যাচ্ছে। কেন পেয়ে যাচ্ছে, এ জন্য কিছু নীতি ও নিয়ম-কানুন দায়ী।

তিনি বলেন, যতদূর পারা যায় প্রকল্পগুলো পরিকল্পনার সময়ে যেন দুর্নীতির সুযোগ কম থাকে, সেটা একটা বিষয়। আর একটা বিষয় হলো প্রজেক্ট পাস হওয়ার পর যখন ঠিকাদারকে দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়, সেই সময় সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়। দেখা যায়, প্রজেক্টগুলো যে খরচে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা বাড়তে থাকে। ব্যয় বাড়তে থাকে, সময় বাড়তে থাকে। এগুলো কীভাবে কমানো যায় এবং ঠিকাদারদের নিয়োগ আর একটু কীভাবে নিয়মসিদ্ধ করা যায়, সেগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে যেন এতে দুর্নীতি কমানো যায়।

টেন্ডার ব্যবস্থায় সর্বোৎকৃষ্ট নিয়ম বলে কিছু নেই জানিয়ে এসময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এগুলো বিভিন্নভাবে করা হয়ে থাকে। এমন কোনো নিয়ম নেই, যেটা সবচেয়ে ভালো। কিন্তু আমাদের দেশের উপযোগী করে এতদিন পর্যন্ত যা দেখেছি সেখানে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা কমানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যাদের দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, টেন্ডারিং প্রক্রিয়াটায় দেশি, বিদেশি এবং বিদেশিদের সঙ্গে সহযোগী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এগুলোর যোগসাজশ কীভাবে কমানো যায়, সোজা কথা যেন দুর্নীতিমুক্ত করা যায় সেসব উপায় খোঁজা হচ্ছে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, কীভাবে সর্বোৎকৃষ্ট টেন্ডারিং প্রসেস করা যায়, এটার সমাধান পৃথিবীর কোনো বইতে নেই। যেকোনো ফর্মুলার মধ্যে যদি খারাপ লোক থাকে, তাদের প্রতিরোধ করার একেবারে ফুলপ্রুফ কোনো উপায় নেই। এর মধ্যে যতদূর কমানো যায় সেটা চিন্তা করতে হবে। শুধু আমাদের জন্য না, ভবিষ্যতের জন্যও।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর