শুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৫, ১২ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
  • সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ
  • ২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
  • ওয়ার্ড সচিব ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার
  • নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না
  • পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে দোহা থেকে রোমে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • আইসিটির দুর্নীতি তদন্ত ও শ্বেতপত্র প্রণয়নে টাস্কফোর্স
  • তুরস্ক ও আমিরাত সফরে প্রধান বিচারপতি

প্রশাসন-পুলিশ ক্যাডারের মতো সুপারনিউমারারি পদোন্নতি চায় ইসি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৩১ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একই পদে কর্মরত আছেন ১৯ বছর ধরে। একইভাবে জেলা, আঞ্চলিক ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও দীর্ঘদিন ধরে একই পদে কাজ করছেন। পদ না থাকায় তাঁরা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। অবশেষে বিসিএস প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারের মতো ৪৫১ জন ইসি কর্মকর্তার সুপারনিউমারারি পদোন্নতি চাওয়া হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের কাজের পরিধি বেড়েছে অনেক। কিন্তু কাজ বাস্তবায়নের জন্য জনবল বাড়ানো হয়নি। ফলে নতুন পদ সৃজনের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বহুবার। কিন্তু ইসির সেই প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি জনপ্রশাসন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ইসি থেকে ৮৭০টি পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এর মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাত্র ৭৫টি পদ অনুমোদন দিয়েছে। আর অর্থ বিভাগ ৭৫টি পদের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে ৪০টি।

এ বিষয়ে ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, অবশিষ্ট ৩৫টি পদ অনুমোদনের জন্য অর্থসচিবের কাছে ডিও (আধাসরকারি পত্র) দেওয়া হয়েছে।

কারণ নির্বাচনব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হলে ইসি সচিবালয়কে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মোট কর্মকর্তা রয়েছেন চার হাজার ৯০১টি। এর মধ্যে নবম গ্রেডের ৬২৯টি, ষষ্ঠ গ্রেডের ১৬০টি, পঞ্চম গ্রেডের ৪১টি, চতুর্থ গ্রেডের ১১টি, তৃতীয় গ্রেডের সাতটি এবং দ্বিতীয় গ্রেডের দুটি পদ রয়েছে। এ ছাড়া তিন হাজার ৬১৭ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় নির্বাচন পরিচালনা এবং ভোটের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের ওপর নির্ভর করতে হয় ইসিকে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পান। তবে কয়েকটি এলাকায় জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসারদেরও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার নজির রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে পদ সৃজন না হওয়া গত ৪ সেপ্টেম্বর ৪৫১ জন ইসি কর্মকর্তার সুপারনিউমারারি পদোন্নতির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসনে। এর মধ্যে ষষ্ঠ গ্রেডের পদ রয়েছে ৩০৫টি, পঞ্চম গ্রেডের ১১১টি, চতুর্থ গ্রেডের ৩৫টি। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন এ বিষয়ে কোনো কাজ করতে পারেনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক বলেন, ইসি কর্মকর্তাদের সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পদ সৃজনের বিষয়টি সামষ্টিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে এককভাবে কিছু বলা যাবে না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর