প্রকাশিত:
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৭
ভাঙনে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পাইনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে যায় এক মাস আগে। এরপর থেকে নাওডোবা এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের একটি খোলা জায়গায় অস্থায়ীভাবে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে একটি মাদ্রাসার রান্না ঘরের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে বসে শিশুরা পড়ালেখা করছে। পাশে একটি পানির নলকূপ থাকলেও শিশুদের জন্য টয়লেটের কোনো ব্যবস্থা নেই।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯৭০ সালে জাজিরার পদ্মাতীরের নাওডোবা পাইনপাড়া এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিদ্যালয়টি প্রথমবার ভাঙনের কবলে পড়ে ১৯৯৫ সালে। দ্বিতীয় দফায় ২০০৭ সালে ভাঙনের কারণে এটির জমি ও অবকাঠামো পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
এরপর ২০১৩ সালে চরপাইনপাড়ায় ৩৩ শতাংশ জমির ওপর পাঁচটি কক্ষ নির্মাণ করে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মিয়া জানান, অবকাঠামো না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। বিদ্যালয়টি নেই, ভাবতে পারছি না। সামনে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা। এই বিবেচনায় খোলা আকাশের নিচে শ্রেণির কার্যক্রম চালাচ্ছি। স্কুলটা কোথায় নিয়ে চালু করা হবে, কে আমাদের জমি দেবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের স্কুলটির অবস্থা জানিয়েছি।
জাজিরা উপজেলার ইউএনও কাবেরী রায় বলেন, আমি জাজিরায় যোগদান করেছি দুই সপ্তাহ হল। কোন স্কুল নদীতে বিলীন হয়েছে, তা কেউ আমাকে জানাননি। খোঁজ নিয়ে দেখব বিদ্যালয়টির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া যায়।
জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়ামত হোসেন বলেন, আমি শুনেছি, একটি স্কুল নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। সেটি দেখতে যেতে পারিনি। স্কুলটির শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ কি না, তাও বলতে পারব না।
দ্রুত স্কুল এর জন্য নতুন জায়গা দেখে স্কুলটির নির্মাণ কাজ চালু করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন: