মঙ্গলবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম সন্ধ্যার পর থেকেই টের পাবেন
  • কক্সবাজার বিমানঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর
  • সন্ধ্যা থেকে সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যৌথবাহিনীর প্যাট্রলিং
  • বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েসহ ৪ মহাসড়ক ও আট সেতুর নাম পরিবর্তন
  • তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
  • রমজানে অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
  • ছিনতাইরোধে মাঠে নামবে পুলিশের ৩ বিশেষায়িত ইউনিট
  • বিপ্লবোত্তর পরিস্থিতিতে শাসন কাজ পরিচালনা সহজ নয়
  • পদত্যাগের আলটিমেটাম নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ২ ডেডলাইন দিয়েছে

পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন,আতঙ্কে এলাকাবাসী

বিপ্লব হাসান হৃদয়, শরীয়তপুর

প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯

ধসে গেছে পদ্মা সেতু সংলগ্ন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পদ্মা নদী রহ্মা বাঁধের ১০০ মিটার। এতে আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন নদীর পাড়ের সাধারণ বাসিন্দারা।

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন এর মাঝিরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পদ্মা সেতু থেকে ১ হাজার ৭০০ মিটার দূরে বাধের ১০০ মিটার অংশের কংক্রিটের সিসি ব্লক নদীতে তলিয়ে গেছে। এতে এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিয়েছে। এতেকরে এলাকার পাচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে আছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

পাশাপাশি নদীর ওপারে পাইনপাড়া মাঝিকান্দি এলাকায় মফিজুল উলূম জামে মসজিদটি নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে। মসজিদটি কাত হয়ে পরে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়াড পদ্মা নদী রহ্মা বাঁধ তৈরি করা হয় ২০১০-২০১১ সালে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন এর আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পযর্ন্ত যার দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার। বাঁধ নির্মাণ করতে ব্যায় হয় ১১০ কোটি টাকা। এতে নদী ভাঙন ও বন্যার হাত থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা।

পাইনপাড়া ও মাঝিরঘাট এলাকার স্থানীয়রা জানান,নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তলনের ফলে দেখা নিয়েছে এমন ভাঙন।
ভাঙনের ফলে বসতবাড়ি,মসজিদ,স্কুল,গাছপালা, ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে তারা অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধ এবং টেকসই
বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক নাগরিক সংবাদ কে বলেন, গত ৩ নভেম্বর থেকে নদী ভাঙন শুরু হয়। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলনের ফলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। আর এখানে নদীর চ্যানেলটা গভীর হয়ায় নদীর পানি নামার সময় ভাঙন দেখা দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তারা
ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন বন্ধে অতি দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করবো।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর