প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৮
ছিঃ ছিঃ কি নোংরা দেখো লোকটা পিঠে করে নিয়ে ঘুরছে তাও আবার বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে ওই হাতে অন্ন মুখে দিবে কেমনে ঘৃণা লাগবে না? আমার তো দেখা মাত্রই গা ঘিন ঘিন করছে লোকে পারে ও বটে সামান্য বিড়াল নিয়ে এত আদিখ্যেতা দেখলে গা জ্বলে যায়।
কিছু মানুষের হৃদয়ে এতটা ঘোলাটে হয়ে গেছে যাদের হৃদয় ছাকনি দিয়ে ছেঁকলে এমন কত শত অসভ্য রুচিহীন ভাবনাচিন্তার দেখা মেলে। বিড়ালের মায়ায় ডুবে থাকা মানুষরা অত্যন্ত ধৈর্যশীল হয় তাদের সহ্য ক্ষমতা বেশি থাকে ঘৃণা বলে কোনো কাজ তুচ্ছ করেনা এরা এছাড়াও অত্যন্ত যত্নবান হয় তারা।আমার মনে হয় তাদের মত নিকৃষ্ট পাষাণ হৃদয়ের কেউ নেই যারা বিড়ালের মায়া ভরা চোখের চাহনি দেখে ও বিড়াল কে দেখে ছিঃ ছিঃ করে। ওসব লোক আবার একটু পন্ডিত টাইপের হয় তবে কেন তারা বিড়ালের মিউ মিউ ডাক তার চোখের ভাষা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারে না ? গরু মানুষের গৃহপালিত প্রাণী তবে বিড়াল মানুষের হৃদয় পালিত প্রাণী যাকে কেবল হৃদয়ের পরিষ্কার চোখ দিয়ে দেখলে ভালোবাসা সম্ভব।
আমার চোখে বিড়ালের মাঝে কোন খুঁত নেই বিড়ালের চোখ যেমন রাতের আলোয় চিক চিক ঝিকঝিক করে তেমনি বিড়ালের চোখে মায়ার আগুন জলে যে জলে ডুব দিলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। যে আগুন মানসিক সুস্থতা বয়ে আনে একবার তার চোখের গভীরে প্রবেশ করলে কোন ঘৃণা কোন রাগ কোনো ক্ষোভ অবশিষ্ট থাকবে না। কারো কারো কাছে বিড়াল মানে সাধারণ একটা প্রাণী কিন্তু আমার ধরনের এমন অনেক লোক আছে যাদের কাছে বিড়াল মানে শুধুই বিড়াল নয় আস্ত একটা কলিজা মানসিক শান্তি সুখের আবহাওয়া । যারা আসলেই বিড়াল প্রেমি তাদের বিড়াল তাদেরকে ছাড়া একলা একটি রাত কাটালে মনে হয় যেন বুকের ভেতর কিছু নাই অতল গভীরে ব্যাথার খনি ভেসে যাচ্ছে মনের মাঝে ঘুটঘুটে কুয়াশা জমতে থাকে।
একমাত্র যাদের বিড়াল হারিয়েছে তারাই জানে ক্রসফায়ারে নিহিত হওয়ার মতো তাদের আত্মাটা নিহিত হয়েছে মরে গেছে হৃদয়ের জ্বলন্ত অনুভূতি। মনে হয় যেন বুকের ভেতর আস্তো ঘোলা পানির একটি সাগর গড়ে দিয়ে সোনামণি আমার হারিয়ে গিয়েছে।
বড় নিঃসঙ্গ বড় একা মুখ ফুটে বলার ভাষাটাও হারিয়ে যায়। ফোটা ফোটা জল চোখের কোনা বেয়ে ঝরে পড়ে দুঃখ যন্ত্রণা সব কিছুই যেন একসাথে কালো মেঘে অন্ধকার ছেয়ে দেয়।
জীবনকে ভালোবাসায় ভরপুর করতে চাইলে জীবনে একবার হলেও বিড়াল পোষা অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ বিড়ালের ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই নিটুট শুদ্ধ ভালোবাসা। এ যুগের মানুষ কেবলমাত্র স্বার্থের পাগল দুমুঠো ভাত আর নিজের উন্নতি এতটুকু হইলে আর কাউকে মানুষ বলে গণ্য করে না কোন প্রাণীকে ভালোবাসার প্রয়োজন বোধ করেনা অহংকারে মাটিতে পা ফেলে না অন্য প্রাণী তো দূরে থাক বিড়ালকে দেখলেও ছিঃ ছিঃ করে। অথচ পোষা বিড়ালটা যদি উস্কো গরম আপন করে একটি কোল পায় অনায়াসে দুবেলা অনাহারে কাটিয়ে দেয় দ্বিধাবোধ করে না। সারাদিনে ক্লান্তি শেষে বিড়ালের চোখের দিকে যখন তাকানো হয় ওর মিউ মিউ ডাকের অর্থ বোঝা হয় তখন মনে হয় শান্তি এটাই।
মন্তব্য করুন: