প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৩
ধুসর জগতে শুধু যে অবলা এই আমি নিঃস্ব,
মুখোশের অন্তরালে যেন আজ ছেয়ে গেছে এই বিশ্ব।
চেনা-অচেনা ফারাকে পরতে, বোঝা দায়- কে আপন?
চাকচিক্যের রঙে যে আজই ভাসছে সদা ভুবন।
নীতি-নিয়ম বিপরীতে ধায়, উলটো চলছে চাকা।
আমি তোমার তুমি আমার, ভেতরে সব ফাঁকা!
আজ যে ক্ষণে দুধের মাছি, কাল সে মরিচীকা!
কারণে দাঁড়ায়, সদা দুঃসময় যেন কোনো বিভীষিকা।
একতার নামে পিঁপড়া সারি, বিপদ আসলে নাই।
স্বার্থ-দ্বন্দ্বে প্রশ্নবিদ্ধ, আরে, কে গো তুমি ভাই?
নিত্যতার ই জয়জয়কার, ভুলে গেছে দাদা-দাদী।
সুযোগ পেলে লুটেপুটে নাও, তুমি আধা-আমি আধি।
অল্প বিদ্যার পরিধি ক্রমশ হয় যে সদা সরু,
বিদ্বান রূপী সেই গুরু যে জানেনা সে তো গরু।
মুখের কথার দাপটে আজ, কাঁপে যে যদু-মধু,
জোর আজ যার, মুল্লুক ই তার- যেন লাউ আর কদু।
লাঞ্ছিত আজ গুণগত মান, উপহাস ভরা হাসি।
ভাবেনা তো আজ এই লাঞ্ছনা, এনে দেবে পরে ফাঁসি।
গুণ-সাগরের ভান্ডার আজ কারো যে উপচে পড়ে!
করবে কি গো এত গুণ দিয়ে, এই ভেবে সে মরে!
কেউ বা আবার নির্বাক লোক, দেখে করে দিন পার
যদি বলি, লোকে কি ই বা ভাববে-এই ভেবে হাহাকার।
নিজের ভুলে ফুলের মালা, লোকে করলেই দোষ।
এই পাকে পড়ে কত নির্দোষ হয় যে নন্দ-ঘোষ।
কথার খোঁচায় যেন বিষ হয়, মধুরূপী সেই মুখে।
কন্টক বাণে শব্দ বিঁধিয়ে, থাকে যে সর্বসুখে।
দুমুখো সাপ আশ্রিত থাকে, আমাদের ই মাঝে আজ।
এ ডালে ও ডালে ঘুরে সে বেড়ায়, মাথায় নাগিন তাজ।
নিজের ভালোয়, নিজের মন্দে নিজে যে করে বাস ;
আমার জীবনে আমিই মালিক, আমিই আবার দাস।
যত ভুল হোক, শোধরানো হোক আমাতেই যাতে থাকি।
যায় আসেনা কে কি বললো, দেবোনা নিজেকে ফাঁকি।
অন্তর্যামী গড়েছে ভাগ্য, হাতে নেই আমার কিছু।
বর্তমান কে করলে যত্ন, সৌভাগ্য নেবে পিছু,
এই নীতিই যে মেনে চলেছে, সিদ্ধ জন্ম তার ;
মানব জন্ম তবেই স্বার্থক, হোক জয় জয়কার।
(সমাপ্ত)
মন্তব্য করুন: