প্রকাশিত:
২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২২
ধন্য হবে, মনটা যদি করতে পারো বড়,
সবাইকে আপন করে নিজেকে যদি গড়ো।
ছোটবেলায় এই কথাটা বলেন আমার বাবা,
কথার গাভীর্যতা আর মর্মবাণী শুরু করলাম ভাবা।
সংকীর্ণ হৃদয়ের বন্ধ জানালা, দিলাম আমি খুলে,
বাইরের জীবাণু গুলোর কথা গিয়েছিলাম ভুলে।
জানলা দিয়ে ঢুকলো দূষণ, ডাস্টবিনের পচা গন্ধ,
তাই বাধ্য হয়েই জানালাটা করতে হলো বন্ধ!
ক্ষমা বড়ই মহৎ গুণ, বলেন গুরুজন,
এই গুণ যার, সৎকর্মে ধরে না তার ঘুন।
তাই পূর্বের সব দুঃখ- ব্যথা ভুলে গিয়েছিলাম,
হৃষ্ট চিত্তে ক্ষমা তাদের, করে দিয়েছিলাম,
বুঝিনি আমি এই ক্ষমাটা হবে আমার কাল,
মানুষ আজও চিনিনি আমি, বুঝিনি দিনকাল!
ধৈর্যশীলতা বড় গুণ, বলেন আমার মাতা।
হাজার কষ্টে থেকেও তুমি দিওনা কাউকে ব্যথা।
তাই করতে আমি চেয়েছিলাম, রাগের সংবরণ,
বুঝতে আজও পারিনি আমি, মানব মনের ধরন!
তাইতো বলি, গুণ ভালো ভাই, ধন্য হে গুনী!
জিলাপির প্যাচ বোঝে না তারা, জানে না ঘ্যানঘ্যানানি!
রোবটিককালে এই মানুষরাই সবথেকে দুর্বল,
সাদা মনের মানুষ পাওয়া, যদিও বড়ই বিরল।
তবে যদি তুমি সহজ হও, হতে চাও সাদাসিধা,
জিলাপির প্যাচ বুঝতে হবে, কালের গোলকধাঁধা!
এই যুগে কেউ গুণ দেখে না, দেখে বিবেক বুদ্ধি,
তাই মানব মনের ধরণ জেনেই, করি আত্মশুদ্ধি,
সরলতা, ধৈর্য, ক্ষমা, সবই অনেক ভালো,
বিবেকবান সরল মানুষ, জগতে ছড়াই আলো।
তাই সবাই মোরা বিবেকবান আর সরল মানুষ হই,
অশ্রু জলে ভিজবে না আর জীবনের খাতা বই!
মানব মনের তত্ত্ব জেনে, করি ভাবের সুরা পান,
সরল হলেও চতুর্দিকে মোদেরই জয়গান!
মন্তব্য করুন: