প্রকাশিত:
২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১৫
কুমার নদের পাশের একটা ছোট্ট গ্রাম রায়েরচর। আকষ্মিক বন্যার পানিতে গ্রামটি ডুবে গেল। বন্যার পানি নেমে গিয়ে যখন মানুষের চলাফেরা স্বাভাবিক হলো তখন গ্ৰামবাসী দেখলো কুমার নদের পাড়ে একটা শিলপাটা রোদের আলোতে ঝকঝক করছে।
অনেক কৌতুহল নিয়ে দূরদুরান্ত থেকে মানুষজন সেই শিলপাটা দেখতে আসলেও কেউ শিলপাটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় না। কখনো সূর্যের রশ্মি পড়ে না শিলপাটায়। দিনের বেলা শিলপাটা ঘিরে থাকে কুয়াশা । রহস্যঘেরা শিলপাটা বিষন্নতা নিয়ে অবস্থান করে সারাদিন। সন্ধ্যার পর শিলপাটার মধ্যে দিয়ে ভিন্ন জগতের দরজা খুলে যায় । তখন শিলপাটার ভেতর থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়। সন্ধ্যার পরে মানুষ ঘর থেকে খুব বেশি বের হয় না। গ্ৰামের মানুষের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে- যে সকল আত্মা শিলপাটার দিকে তাকায়, তারা আর ফিরে আসে না।
রূদ্র কমলের মনে অদম্য কৌতূহল।অমাবস্যার এক রাতে সে গ্রামের মানুষের নিষেধ উপেক্ষা করে শিলপাটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়...
রূদ্র কমল শিলপাটার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিষ্পলক দেখতে থাকে। সে শিলপাটার ভেতর তার অন্যরকম ছায়া দেখতে পায়। তার চোখে এক অদ্ভুত মোহমায়া, ঠোঁটে রহস্যময় হাসি। সে অনুভব করে কেউ তাকে ডাকছে। হঠাৎ তার ছায়া নড়ে ওঠে—ছায়াটা হাসতে শুরু করে।
মন্তব্য করুন: