প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৭
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী। তবে সরজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী প্রদর্শনে ব্যস্ত থাকলেও নিখোঁজ সন্ধানে পোস্টার টাঙিয়েছেন দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আম বাগানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কর্তৃক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর পোস্টার দর্শনার্থীদের দৃষ্টিগোচর হয়। তারা হলেন আল ফিকাহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আল মুকাদ্দাস এবং দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ। দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনেকে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করলেও দুই বিভাগের শিক্ষার্থী নিখোঁজ সন্ধানে শোকাভিভূত।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, মুকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহ গুমের বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আজ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা, যদি নিয়ে থাকে তাহলে বর্তমান কোন পর্যায়ে আছে। কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা এবং তাদের ব্যাপারে বক্তব্য কী। কিংবা নিখোঁজ পরিবারের সিদ্ধান্ত কী। রাষ্ট্র গুম হওয়ার ব্যাপারে কী জানিয়েছে নাকি আইনী প্রক্রিয়াধীন আছে। শিক্ষার্থীরা বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট বর্ণনা এবং নিখোঁজের সন্ধান চায়।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, যতদিন আমার ভাইয়ের খোজ দিতে ব্যর্থ হবে প্রিয় ক্যাম্পাস ততদিন উৎসবমুখর পরিবেশে জন্মদিন পালন করা হলেও তা অপূর্ণ ই থেকে যাবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, তারা একসাথে ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে বাসে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছিলেন। সূত্র মতে বাসটি সাভারের নবীনগর এলাকায় পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৮ থেকে ১০ জন আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহকে নামিয়ে নিয়ে যান। মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ ক্যাম্পাসে না ফেরায় তাঁদের বন্ধুরা পরিবারকে জানান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন: