প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১
গুরুদাসপুর উপজেলার হাঁসমারী মৌজার ৩৬৩ শতক (১১ বিঘা) জমি প্রায় ৮-১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। জমিটির তিন দিকে পুকুর, যার ফলে মাঝখানে জমিটি স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই জলাবদ্ধতার কারণে জমিটি আবাদযোগ্য নয় এবং বর্তমানে অপ্রয়োজনীয় অবস্থায় রয়েছে।
এক সময় এই জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলানো হতো, এবং প্রতি বছর প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকার ফসল উৎপাদিত হতো। তবে বর্তমানে জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় কোনো ফসলই উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি শুধু কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিই করেনি, বরং স্থানীয় অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। জমির মালিকরা জানালেন, বিগত বছরগুলোতে জমির পাশের জমিগুলোর মালিকরা অবৈধভাবে পুকুর খনন করেছেন। বাধা দিলে হুমকি-ধামকি এবং ভয় দেখানোর শিকার হতে হয়। ফলে জমি পুনরায় আবাদযোগ্য করতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় কৃষকরা এখন আশা করছেন, যদি জমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুকুর খনন করা হয়, তবে তা শুধু আর্থিক ক্ষতি কমাবে না, বরং স্থানীয় অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সঠিক নিয়মে পুকুর খনন করলে এটি মাছ চাষের মাধ্যমে উৎপাদনশীল হতে পারে, যা একদিকে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভজনক হবে, অন্যদিকে জলজ প্রাণীদের বাসস্থানও তৈরি করবে।
বর্তমানে জমি জলাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকায় মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পুকুর খনন করে জমি থেকে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হলে এটি শুধু স্থানীয় কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতায় সহায়তা করবে না, বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে স্থানীয় কৃষকদের দাবি, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে জমি পুনরায় চাষাবাদের উপযোগী করতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে কৃষকরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছেন, তারা এই জমিকে সম্পদে পরিণত করতে চান, এবং এজন্য পুকুর খননের অনুমতি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় জনগণের কল্যাণ এবং পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুকুর খনন একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে।
মন্তব্য করুন: