প্রকাশিত:
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:২৪
জুলাই বিপ্লবোত্তর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংস্কার ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর ডোপ টেস্ট করে শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা নিশ্চিতকরণসহ মোট ২৪ টি ভাগে ১১০ প্রস্তাবনা পেশ করেছেন ইবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
আজ (৩০ নভেম্বর) শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে প্রস্তাবনাগুলো পেশ করার পাশাপাশি উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করে তারা।
এর পরে একই দিনে দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি-তে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনটি।
এসময় আবাসিক হল প্রসঙ্গে স্মারকলিপির পঞ্চম ভাগে ১০টা দফা পেশ করেন সংগঠনটি। তন্মধ্যে ডোপ টেস্ট করে শিক্ষার্থীদের হলে আবাসিক নিশ্চিত করা। এছাড়াও অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে- ক্যাম্পাসে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতকল্পে দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, হল পরিচালনা ও সিট বণ্টনসহ যাবতীয় কার্যক্রম রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে "প্রতি হলে আবাসন, নিশ্চিত করবে প্রশাসন" এই স্লোগানকে কার্যকর করা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিকীকরণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মেধা, অর্থনৈতিক অবস্থা ও দূরত্বের বিবেচনায় হলে সিট বণ্টন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন করে গণরুম-গেস্টরুম কালচার চিরতরে বিলুপ্ত করা, হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের ক্যাম্পাসে অবস্থান ও নিয়মিত অফিসে যোগদান নিশ্চিত করা, আবাসিক শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রিডিং রুম, লাইব্রেরির পরিসর বৃদ্ধি ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, হলের রুম, ডাইনিং রুম ও ওয়াশরুম সংস্কারের প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা, হলে ইন্টারনেট সেবা ও খাবারের মান উন্নতকরণ এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা ও প্রতি হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি নিশ্চিত করা
সংগঠনটির ইবি শাখা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের আগে অন্য সংগঠনও প্রস্তাবনা পেশ করেছিল। তবে আমাদের একটু সময় নিতে হয়েছে। আজকে উপাচার্য বরাবর ১১০ প্রস্তাবনা পেশ করে প্রেস ব্রিফিং করেছি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ইবি শাখা সভাপতি এইচ এম আবু মুসা বলেন, আমরা উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমরা। উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আপাতত ইকসু নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। দলীয় সংগঠনের প্রতিনিধি কিন্তু সবকিছু বলতে পারে না। তবে ইকসু ভিপি যিনি হবেন তিনি কিন্তু সিন্ডিকেট সভার সদস্য হন। এক্ষেত্রে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে দাবিদাওয়া পেশ করার জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
মন্তব্য করুন: