রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ডিসিপ্লিন মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে যানজট-আইনশৃঙ্খলা
  • দুর্নীতিবাজরা নেই, তাই গরুর দাম কম
  • তেলের দাম কমানো হয়েছে, বাসে বাড়তি ভাড়া নিলেই ব্যবস্থা
  • বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল
  • চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • গুমের ঘটনা নিয়ে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত
  • শেখ মুজিব ও ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয়
  • ভারত থেকে ‘পুশ ইন’ ঠেকানো সম্ভব নয়
  • ৪ শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল
  • ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে লম্বা ছুটি

শাখা বরাক নদী

দখল ও দূষণে বিলীনের পথে

জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)

প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৪

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত শাখা বরাক নদী ছিল একসময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কৃষিকাজের প্রাণ। জেলেরা মাছ ধরতেন, কৃষকেরা চাষাবাদের পানি পেতেন এ নদী থেকে। তবে আজ অবৈধ দখল, ময়লা-আবর্জনা এবং বর্জ্য ফেলার কারণে এই নদীটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। একসময় যে নদী ছিল প্রমত্তা, তা এখন খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হলেও শুকনো মৌসুমে নদীটি পরিণত হয় বিরাণ ভূমিতে।

প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর আগে শাখা বরাক নদীতে বড় বড় নৌকা চলাচল করত। আজ সেই খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করাও দুষ্কর। নবীগঞ্জ বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে পরিণত হয়েছে এই নদী। ময়লার স্তূপ জমে নদীর পানি প্রবাহ ব্যাহত হওয়ায় বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। শহরের ড্রেনের পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

বৃদ্ধদের মুখে শোনা যায়, একসময় শাখা বরাক নদী দিয়ে লঞ্চ চলাচল করত। বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর থেকে বিজনার শাখা হয়ে শুরু হওয়া এ নদী চৌধুরী বাজার, নবীগঞ্জ বাজার, এবং বানিয়াচংয়ের কাগাপাশা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বর্তমানে এই নদীর বেশিরভাগ অংশ দখল হয়ে গেছে। তিমিরপুর থেকে কালিয়ারভাঙা পর্যন্ত নদীর অস্তিত্ব প্রায় অদৃশ্য। বিভিন্ন স্থানে কচুরিপানার স্তূপ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রোধ করেছে।

নদী তীরবর্তী অনেক বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ সরাসরি নদীতে সংযুক্ত। হাসপাতাল, ক্লিনিক, মুরগির খামারের বর্জ্যসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক ও পলিথিনের মিশ্রণে নদীর পানি মারাত্মকভাবে দূষিত। দূষণের কারণে মশা-মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেড়েছে। নদীর পানি ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল জানান, দখল ও দূষণের কারণে শাখা বরাক নদীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং উদাসীনতার কারণেই এই নদীর করুণ দশা। পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে শাখা বরাক নদী হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর