প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২
হেঁটে যেতে যেতে একটু থামি
প্রাচীন বটগাছের নিচে ছেলে বুড়ো
সকলের মতো ফাঁকা জায়গা
পেয়ে টুপ করে বসে পড়ি।
পা দু'খানি স্বস্তি পায় নিদেনপক্ষে কিছুটা,
চশমা খুলে সংস্কার শেষে
শক্ত করে এঁটে দেই দু'কানের ভাঁজে।
দীর্ঘ শীতেরপথ প্রদক্ষিণ শেষে -
আরামদায়ক বিশ্রাম বটে।
অনেক দিনের চায়ের নেশা -
চিনি ছাড়া এককাপ ধোঁয়া উড়া চায়ের আকুতি ;
দোকানীকে হাঁকিয়ে বলি -
একটা রং চা চিনি ছাড়া।
মিনিট দশেক পর - ছোট্ট ছেলেটা
ধাক্কা মেরে চা তুলে দেয় হাতে
সঞ্চিত তৃপ্তির চুমুক বসিয়ে -মুখ বেঁকিয়ে
বুঝে ফেলি চিনি পড়েছে দুচামচ।
চিৎকার চেচামেচি এখন আর মানায় না
বয়সের দোষ এ বয়সে থাকতে নেই।
শীতার্ত মাটির বুকে ঢেলে দেই
জীবন থেকে অতীত হওয়া তপ্ত গ্লাসের পুরোটাই
শরীরের সাথে এঁটে থাকা ঠিকঠাক পা'দুখানি
পুনরায় সচল করে, পা বাড়ায়
বাড়ির পথে।
হাত গুনে হিসেব করতে থাকি
ক'কুড়ি পার হলো জীবন থেকে !
মন্তব্য করুন: