প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:০৯
উত্তর বঙ্গের একটি ছোট্ট গ্রামে বাস করত আদিব নামে একটি সৎ ও সরল ছেলে। সে গ্রামবাসীর বিপদে আপদে তাদের উপকার করতো , আর সে কারনে সবাই তাকে ভালোবাসতো। কিন্তু আদিবের একটা খারাপ অভ্যাস ছিল, সে খুবই রাগী ছিল। সামান্য কারণেই সে তার রাগকে সংযত রাখতে পারত না।
একদিন আদিব তার বন্ধুদের সাথে খেলছিল। হঠাৎ বলটি গিয়ে এক প্রতিবেশীর জানালার কাচ ভেঙ্গে দিল। আদিব বলটি নিতে গেলে , সেই প্রতিবেশী তাকে দেখে রাগ করে বললেন, “তুমি আমার জানালা ভেঙ্গে দিয়েছ ? দারাও আমি তোমার বাবার কাছে নালিশ করছি ”
আদিব খুব রেগে গেল। সে চিৎকার করে বলল, “তুমি কি উল্টাপাল্টা বকছ? আমি তোমার জানালার কাচ ভাঙ্গিনি!”
প্রতিবেশী লোকটি আরও রেগে গেলেন। তিনি বললেন, “তুই আমার জানালার কাচ নষ্ট করেছিস, তুই খারাপ ছেলে!”
রাজু আর সহ্য করতে পারল না। সে বয়স্ক লোকটিকে ধাক্কা দিয়ে দিল। তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন এবং পাশে থাকা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে তার মাথা ফেটে গেল। সবাই ভয় পেয়ে গেল। তারা দ্রুত বয়স্ক লোকটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেল।
আদিব তার কাজের জন্য খুবই লজ্জিত হল। সে বুঝতে পারল যে, তার রাগ কারো জন্য কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সে বয়স্ক প্রতিবেশী লোকটির কাছে ক্ষমা চাইল এবং নিজেও বেশ অনুতপ্ত হলো।
সেই দিন থেকে আদিব তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে লাগল। যখনই তার রাগ আসতো, সে গভীর শ্বাস নিতো এবং নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করতো । ধীরে ধীরে সে তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখল।
এরপর থেকে সবাই আদিবের প্রশংসা করে বলতো, “তুমি অনেক পরিবর্তন হয়েছো, তুমি এখন খুব শান্ত ও বুদ্ধিমান ছেলে হয়েছো।”
এতে আদিব খুব খুশি হল। সে বুঝতে পারল যে, রাগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করে তোলে এবং বিভিন্ন ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করে।
মন্তব্য করুন: