প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৭
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আল মুকাদ্দাসের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট গুমের কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপদেষ্টা আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রহিম উল্লাহ, অধ্যাপক ড. ইন্দ্রিস আলী, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসা বক্তব্য রাখেন। এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরিদসহ অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ওয়ালিউল্লাহ এবং আল মুকাদ্দাসকে গুম করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছর বিগত সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়নি। সরকার পতনের পর গুম হওয়া অনেকে ফিরে এলেও ইবির এই দুই শিক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে আমরা বর্তমান সরকারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাফি বলেন, আমাদের দুই ভাই কি কারণে এবং কোথায় গুম করা হয়েছে সব কিছু উদ্ঘাটন করতে বর্তমান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিগত ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে যারা গুম হয়েছে তাদের ব্যাপারে বর্তমান সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, তারা একসাথে ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী (হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৭৫০ নম্বর) বাসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছিলেন। সূত্র মতে বাসটি সাভারের নবীনগর এলাকায় পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৮ থেকে ১০ জন আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহকে নামিয়ে নিয়ে যান। মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ ক্যাম্পাসে না ফেরায় তাঁদের বন্ধুরা পরিবারকে জানান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন: