প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৫
রাত শেষে ভোর নেমে,
বইছে শীতল হাওয়া।
ভোরের এই মৃদু বাতাস ,
কৃষকেরই চাওয়া!
সকাল হলেও হয়না দেরি,
উঠতে তাদের রোজ,
হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমই,
নেওয়ার মতো খোঁজ।
প্রভাতে বেরিয়ে পড়ে,
মাঠেরও টানে,
ফসল ফলাতে হবে,
এই ব্রত প্রানে।
মাথায় তাদের গামছা বাধা,
হাতে তাদের দড়ি,
শরীরটাতে একটু তাদের,
কালোর বাড়াবাড়ি।
গ্রীষ্মের প্রখর রোদে,
পুড়ছে তারা রোজ।
শীতকালেও কম পুড়েনি,
নিয়ে দেখ খোজ।
অশ্রুর মতো ঘর্ম তাদের,
ঝড়ছে দেহ থেকে।
পা দুটো পানি কাদায়,
চলছে একে বেকে।
বর্ষার দিনে কত শংকায় ,
থাকে তাদের মন।
বন্যা এলে হয়না যেন,
প্লাবিত বন!
যে বন আমাদের অন্নদাতা,
বাচার ভিন্ন তাগিদ,
সে বনকে বাচিয়ে রাখা,
নিত্য তাদের অতীত।
শত কষ্টের পরেও তাদের,
করে না সম্মান।
সব খানেতেই অবহেলা,
নিত্য তাদের প্রান।
কেউ বলে এসেছে কালা,
মাঠে- ঘাটে খেটে,
বসতে দে পিড়ে ওরে,
উঠানেতে পেতে।
আসেনা যেন ঘরের মধ্যে,
গায়ে তাদের কাদাঁ।
ঘরে এলে অপবিত্র,
হবে সব দাদা।
বলেনা কেউ অপবিত্র,
ফলায় সোনার ফসল।
যে ফসল বাচিয়ে রাখে,
মনুষ্য সকল।
যিনি বাঁচায় তিনিই তো,
হয় সৃষ্টিকর্তা।
তাহলে কি কালো কৃষক,
তবে সৃষ্টিকর্তা?
আজকের এই সমাজ বলবে,
একদিন নিশ্চয়।
কৃষক হলো দেশের সোনা,
গর্ব করার প্রত্যয়।
মন্তব্য করুন: