প্রকাশিত:
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৪০ তম প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাধারণ সভার মাধ্যমে সদ্য ঘোষিত ‘সান্ধ্য আইন’ প্রবর্তনে গভীর ক্ষোভ, উদ্বেগ এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ইবি শাখা (আহ্বায়ক কমিটির) সদস্য রাফিজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়। ঘোষিত সান্ধ্য আইন বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাথে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সকল ধরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দেন সংগঠনটি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইবি শাখার আহ্বায়ক মোঃ সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মোঃ মাসুদ রুমী মিথুন এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও রক্ষায় কাজ করে আসছে। এ ধরণের নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা, জীবনযাত্রা বাঁধাগ্রস্থ হবে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় গড়ে উঠতে পারে এবং স্বাধীন চিন্তা, মত-প্রকাশ ও মুক্ত পরিবেশে জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে পারে তার সু-ব্যবস্থা সৃষ্টি করা উচিত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এ সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা বাস্তবায়িত করে তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলি বাঁধাগ্রস্থ হবে যা কোনো শিক্ষার্থীরই কাম্য নয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান যে, এই সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও উন্নত শিক্ষাঙ্গন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১৪০ তম প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাধারণ সভায় ছাত্র ও ছাত্রীদের হলে রাতে প্রবেশের সময় নির্ধারণ প্রসঙ্গে সান্ধ্য আইনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, ছাত্রদের প্রতিটি হলে রাত ১১ টার মধ্যে শিক্ষার্থী প্রবেশ বাধ্যতামূলক। আর ছাত্রীদের হলে মাগরিবের আজান হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রবেশ বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব হল ব্যতিরেকে অন্য হলে অবস্থান নিষিদ্ধ।
মন্তব্য করুন: