প্রকাশিত:
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:১৩
বয়স পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। চেহারায় বিন্দুমাত্র মেদ নেই। বলিউডি ডিভা প্রীতি জিন্তাকে সাধারণত খুব বেশি মেকআপে দেখা যায় না। তার চেহারার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্যই হয়ে ওঠে সাজের অঙ্গ। ত্বকে এখনও তার বলিরেখা পড়েনি। বয়স যেনো থমকে গিয়েছে জাদুবলে ৪৯ এ। এই বয়সেও কীভাবে এমন চেহারা ধরে রেখেছেন এই সাবেক তারকা অভিনেত্রী ? এখনও কী করে এত কমবয়সি দেখায় প্রীতিকে ? সেই রহস্য ফাঁস করলেন প্রীতি নিজেই।
প্রীতি তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে জানিয়েছেন, কোনও রকম অ্যান্টি - এজিং থেরাপি করেননি তিনি। পঞ্চাশেও তারুণ্য ধরে রেখেছেন কেবল নিয়ম মেনে পরিমিত খাওয়া এবং ঘড়ি ধরে শরীরচর্চার কারণেই। তার পছন্দের ব্যায়াম হলো পিলাটেজ। প্রশিক্ষকের পরামর্শে এই ব্যায়াম করেই এমন ছিপছিপে চেহারা ধরে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রীতি।
বয়স ধরে রাখতে প্রীতি'র তিন টোটকা .....
শারীরিক ব্যায়াম :
যন্ত্রের সাহায্যে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন না অনেকেই। প্রীতিও সেই দলেই। জানিয়েছেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণের সময়ে নানা রকম জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে। সেই পথ ছিল খুবই যন্ত্রণার। এর পরেই প্রশিক্ষকের সাহায্যে পিলাটেজ শুরু করেন তিনি। এটি হল দেহের পেশি এবং অস্থিসন্ধিগুলোকে সচল রাখার ব্যয়াম। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ে শরীরে অস্থিসন্ধিগুলো। পেশিরও ক্ষয় হতে শুরু করে। অনেক সময়ে যোগাসন ঠিক মতো করা যায় না। সেই সময়ে যে ব্যায়ামগুলো সাবলীল ভাবে করা যায়, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম পিলাটেজ। কেবল শরীর সচল রাখা বা পেশির শক্তি বাড়ানোই নয়, নানা ধরনের অসুখ, যেমন স্লিপ ডিস্ক, ফ্রোজেন শোল্ডার, স্পন্ডিলোসিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই ব্যায়াম।
পর্যাপ্ত ঘুম :
শরীরচর্চার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। প্রীতি জানিয়েছেন, যতই ব্যস্ততা থাক, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমই জরুরি। কেননা পর্যাপ্ত ঘুম শরীর থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করে। ত্বকও ভাল রাখে, মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না।
পরিমিত ডায়েট :
পরিমিত খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন প্রীতি। তার কথায়, পছন্দের সবই খান, কিন্তু কম পরিমাণে। সময় ধরে খাওয়াও জরুরি। প্রতি দু'ঘণ্টা পর পর কম করে খেতে হবে। খিদে পাওয়া মানেই একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। বরং সংযম নিয়ে খান - এমনটাই মত প্রীতি'র। বলছেন, খাওয়ার সময়ে ধীর স্থির হয়ে বসে খাওয়া ভালো। এতে ধীরেসুস্থে চিবিয়ে খেতে পারবেন। তাতে বেশি খাওয়া হবে না এবং যেটুকু খাবেন, তা সহজেই হজম হবে। সপ্তাহে এক দিন নিজের মনের মতো খাবার খান, তাহলে রোজ রোজ ভালো - মন্দ খাওয়ার ইচ্ছা হবে না।
মন্তব্য করুন: