মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু
  • মাঠ পর্যায়ে অনিয়ম পেলে কোম্পানির অ্যাগ্রিমেন্ট বাতিল
  • বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সেনাসদস্য নেবে কাতার
  • বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি
  • ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৬২০ মামলা
  • বিশ্বকে ৫ উদ্যোগ নিতে ড. ইউনূসের আহ্বান
  • ফিলিস্তিনের মানবিক দুর্ভোগ শুধু একটি অঞ্চলের নয়, মানবতার বিষয়
  • ইশরাকের গেজেট প্রকাশ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়ে ইসির চিঠি
  • প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা মেনেই বৈঠক করা হচ্ছে
  • ‘ডিবিতে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি আগুনে পুড়ে গেছে’

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের হরেকরকম পিঠা উৎসব

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত:
১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪১

শীতের মিষ্টি রোদে হরেকরকমের পিঠায় লক্ষ্মীপুরে হয়ে গেলো শিক্ষার্থীদের বর্ণিল পিঠা উৎসব। তিন শতাধিক পিঠার পসরা সাজিয়ে শতাধিক স্টল নিয়ে বসে স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে ক্যাম্পাসে ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপচেপড়া ভিড়।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ আয়োজন করা হয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে এ আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

ফুলে সজ্জিত ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।

ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা, উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সবুজ, পরিচালক হাছান মাহমুদ। পরে তারা পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।

পিঠা উৎসবে ঘুরে সুকন্যাদের পিঠার দোকান, নবান্নের পিঠা ঘর, পিঠার সমাহার, ঢেঁকির বৈঠক খানা, নোয়া চাইলে নোয়া হিডা, পিঠা আড্ডা, টুনটুনিদের পিঠা ঘর ও পিঠা অরণ্যসহ বিভিন্ন নামে শতাধিক দোকান দেখা যায়।

এতে পদ্মার ইলিশ পিঠা, পাটি সাপটা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, হৃদয় হরণ, নারিকেল বেলি পিঠা, ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠাসহ তিন শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে ৫০ ধরনের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা শিক্ষার্থীদের।

ছাত্র-ছাত্রী কয়েকজন বলেন, পিঠাগুলো আমরা মাসহ অন্যদের সহযোগিতা বানিয়েছি। অনেক পিঠার নাম আমরা জানতাম না। এ আয়োজনের মাধ্যমে পিঠাগুলো বানানো শিখলাম। পিঠার নামও শিখতে পেরেছি। প্রিয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ পাওয়াটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

পিঠা উৎসব দেখতে আসা রবিউল ইসলাম, আরমোন হোসেন ও আফরোজা আক্তার বলেন, পিঠা উৎসবের খবর পেয়ে আমরা দেখতে এসেছি। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি এমন আয়োজন করে থাকে।

এবারের আয়োজনটি মনমুগ্ধকর ছিল। আমরা কয়েকটি পিঠা খেয়েছি। মজার খাবার ছিল।

প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সবুজ বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শীতকালে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছি। সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে। এবার প্রতিটি স্টলেই নতুন নতুন ধরনের পিঠা দেখছি। আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপভোগ করছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনের উপস্থিতি সরব রয়েছে। প্রতি বছরই এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, পিঠা উৎসব অসাধারণ একটি আয়োজন ছিল। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধারণে এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এ উৎসবটি পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে দেখেছি। সত্যিই অভিভূত। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য আবারও শহরে ফিরে আসবে এমনটিই মনে করেন জেলা প্রশাসক।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর