শনিবার, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল nagorikdesk@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি
  • ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়
  • বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই
  • নতুন সিইসি ও ইসিদের শপথ কখন জানা গেল
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, বেশি দূষণ যেখানে
  • এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন
  • আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না
  • শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
  • আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা নয় চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে

এক সপ্তাহের বিরতির পর আবার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২১ আগষ্ট ২০২৩, ১৩:৫০

বিশ্ববাজারে তেলের দাম সোমবার(২১ আগষ্ট) আবারও বেড়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে যাবে—এমন একটি শঙ্কা থাকলেও সৌদি আরব ও রাশিয়া রপ্তানি কমানোর কারণে তেলের দাম বেড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, সোমবার(২১ আগষ্ট) সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৫ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৫ দশমিক ৫৫ ডলারে ওঠে; অন্যদিকে, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৮০ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ দশমিক শূন্য ৫ ডলার।

এদিকে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ডব্লিউটিআইয়ের চুক্তির মেয়াদ মঙ্গলবার(২২ আগষ্ট) শেষ হবে। আগামী অক্টোবর মাসের জন্য ওই তেলের দাম ৭৩ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮১ দশমিক ৩৯ ডলার।


প্রায় দুই মাস ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহের আগপর্যন্ত ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম টানা সাত সপ্তাহ বেড়েছে, এরপর গত সপ্তাহে দাম ২ শতাংশ কমে। যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদহার আরও কিছুদিন বাড়তি থাকবে—এ ধারণার ভিত্তিতে ডলারের দর বৃদ্ধি এবং চীনের আবাসন খাতের দুরবস্থার কারণে প্রবৃদ্ধির ধীরগতির আশঙ্কায় গত সপ্তাহে তেলের দাম কমে। তারপর সোমবার(২১ আগষ্ট) আবার তা বাড়ল।

তেলের বাজারে সরবরাহও কমছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগস্ট মাসে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর অপরিশোধিত তেল রপ্তানি টানা দ্বিতীয় মাসের মতো কমতে পারে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি কোম্পানির পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপক স্টেফানো গ্রাসো রয়টার্সকে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে সরবরাহ কমে গেলেও তেলের চাহিদা বাড়ছে। মন্দা হয়ে চাহিদা কমে না গেলে বলতে হবে, ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর হাতে এখন তেলের বাজারের নিয়ন্ত্রণ।’


সম্প্রতি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারী দেশ চীন তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে বছরের শুরুতে তারা বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে পরিশোধনাগারগুলো ভরিয়ে রেখেছে, সে কারণে তারা এটা পারছে।

জুলাই মাসে সৌদি আরব থেকে চীনের তেলা কেনা কমেছে ৩১ শতাংশ। তবে রাশিয়ার কাছ থেকে তারা এখনো ভর্তুকি মূল্যে তেল আমদানি করছে। বস্তুত, রাশিয়াই এখন চীনের তেলের প্রধান উৎস।

তবে চীনের পরিশোধনাগারগুলো পরিশোধিত তেলজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সচল তেলখনির সংখ্যা গত সপ্তাহে আরও পাঁচটি কমেছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসের পর যা সর্বনিম্ন। মোট ৫২০টি খনি থেকে তারা এখন তেল উত্তোলন করছে।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো চলতি বছর থেকেই মরিয়া হয়ে তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যে তারা দফায় দফায় তেল উৎপাদন কমিয়েছে। তাতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবারও ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের ওপরে উঠে গেছে।

সৌদি আরবও চায় তেলের দাম ৮০ ডলারের ওপরে থাক; তাহলে দেশটির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম চালানো সুবিধাজনক হয় বলে নিউইয়র্ক টাইমসের এক সংবাদে বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে তারা সফল।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর